Categories


ছাগল পোষা লাভজনক

পশু বিজ্ঞানীদের মতে, বিশ্বে বর্তমানে প্ৰায় ৩০০ প্ৰজাতির ছাগল রয়েছে। ছাগলের মাংস ও দুধ অন্যান্য প্রাণীর মাংসের ও দুধের চেয়ে শতগুণ পুষ্টিকর। ছাগলের চামড়া দিয়ে আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক চামড়াজাত জিনিসপত্র তৈরি করা হয়। অথচ সঠিক পালন ও পরিচর্যার অভাবে ইতোমধ্যে বেশ কয়েক প্রকার ছাগলের বিলুপ্তি ঘটেছে।
আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে ছাগল পালন শুরু হয়েছে মাত্র কয়েক দশ আগে থেকে। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা গ্রামীণ কৃষক ও মহিলাদের নগদ টাকা ঋণ দানের মাধ্যমে ছাগল পালনে উদ্ভুদ্ধ করছে। ফলে ছাগল পালন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে। ছাগল পালনে তেমন খরচ হয় না, বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। আর বছরে দু বারে প্রায় ৩-৪টি করে বাচ্চা পাওয়া যায়। তাই ছাগল পালন খুব লাভজনক।
এ বইয়ে ছাগল পালনের সকল বিষয় ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হয়েছে। ছাগলের বাচ্চা, খামার ব্যবস্থাপনা, বিভিন্ন রোগ ও তার প্রতিকার, টিকা প্ৰদান- এগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বইটি প্রকাশ করার জন্য ঝিঙেফুল-এর স্বত্বাধিকারী গিয়াসউদ্দীন খসরু ভাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই। বইটি পাঠকদের উপকারে আসবে বলে আমি আশাবাদী।


গাদ্দাফির সঙ্গে আমার জীবন

শুরুটা হয়েছিল সুরাইয়াকে দিয়ে। একটি মেয়ে—কাজলকালো যার চোখ, রোদেপোড়া চকচকে মুখ কিন্তু আকর্ণবিস্তৃত চওড়া হাসি। সুরাইয়া—বিদ্যুৎচমকের মতো মুহূর্তেই যার মনভোলানো হাসি সশব্দ কান্নায় পরিণত হয়; বিপুল উদ্দীপনা বদলে যায় চরম নৈরাশ্যে; অনুপম অনুরাগ পরিণত হয় ভয়াবহ প্রতিশোধস্পৃহায়। সুরাইয়া—যার আছে একটি অজ্ঞাত অতীত, এক সাগর দুঃখ আর হার না মানা বিক্ষুব্ধ মনন। সুরাইয়া—যার গল্পটা শুরু হয়েছিল মনোরম এক প্রাণবন্ত পরিবেশ থেকে। আর শেষ হয় নরপিশাচ দানবের পাঞ্জায় আবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে। সুরাইয়ার সেই দানবের নাম মুয়াম্মার গাদ্দাফি। আফ্রিকার লৌহমানব নামে যিনি পরিচিত ছিলেন সারাবিশ্বে। যিনি বরিত হতেন লিবিয়ার নারীমুক্তির প্রবাদপুরুষ হিসেবে। অথচ তারই গোপন হেরেমে রক্ষিতা হিসেবে বন্দী ছিল শত শত নিষ্পাপ মেয়ে। প্রথমবার এ কথা শুনে হয়তো পাঠকমাত্রই অবিশ্বাসে আঁতকে উঠবেন। কিন্তু হেরেমবন্দী সুরাইয়ার হাত ধরে যখন আপনি প্রবেশ করবেন গাদ্দাফির হেরেমখানায়, এক কোমলপ্রাণ কিশোরীর ধর্ষিত হবার বর্ণনা শুনে আপনার চোখ জলে ভেসে যাবে।


প্রোগ্রামিং এক্সারসাইজ

প্রোগ্রামিং শেখাটা ঠিক অন্য লেখাপড়ার মতো নয় যে, বই পড়লাম, উদহারণ দেখলাম, কয়েকটি অনুশীলনীর সমাধান করে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলাম কিংবা কিছু প্রশ্নের উত্তর মুখস্থ করে ফেললাম। প্রোগ্রামিং হচ্ছে একটি বিশেষ দক্ষতা (skill), যেটি অর্জন করার জন্য প্রয়োজন বিষয়টির ওপর পরিষ্কার ধারণা এবং পর্যাপ্ত চর্চা। শুধু বই পড়ে গেলে এবং চর্চা না করলে প্রোগ্রামিং শেখা হয় না। আবার কেন কী করছি, সেটি না বুঝে শুধু চর্চা করলেও কাজ হয় না। বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রোগ্রামিং বিষয়টি একটু কঠিন মনে হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ আছে, যার একটি হচ্ছে, বাংলা ভাষায় ভালো বইয়ের অভাব। এই অভাবটি আমরা পূরণ করার চেষ্টা করছি বেশ কয়েক বছর ধরেই। আমার সৌভাগ্য যে, এক্ষেত্রে কিছুটা সফলও হয়েছি, কারণ আজকাল কম্পিউটার বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে আমার ‘কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ১ম খণ্ড’ বইটি থাকে, এমনকি স্কুল-কলেজের অনেক ছেলেমেয়েরাও বইটি পড়ে প্রোগ্রামিং শিখছে। বইটির দ্বিতীয় খণ্ড, তৃতীয় খণ্ড, প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধান শুরু করার জন্য ‘৫২টি প্রোগ্রামিং সমস্যা ও সমাধান’ এবং প্রোগ্রামিং শিখতে গিয়ে যারা নিজেদেরকে গণিতে দুর্বল ভাবে, তাদের জন্য ‘গণিত করব জয়’ আমরা প্রকাশ করেছি। তারপরও আমার মনে হচ্ছিল, শিক্ষার্থীরা যখন কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ১ম খণ্ড বইটি পড়ে, তখন তাদের আরো বেশি প্রোগ্রামিং চর্চা করা দরকার, অনুশীলন করা দরকার। তাই এমন একটি বইয়ের চিন্তা মাথায় আসে, যেখানে প্রচুর উদাহরণ থাকবে, সেই সঙ্গে থাকবে অনুশীলনী। তাহমিদ রাফির সঙ্গে আলোচনার পরে সে বইটি লিখতে সানন্দে রাজি হয়ে যায়। আমাদের দেশে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আইসিটি কোর্সে ‘সি প্রোগ্রামিং’ আছে। আবার দেশের হাতেগোনা কয়েকটি বাদে সব বিশ্ববিদ্যালয়েই সি ভাষা দিয়ে প্রোগ্রামিং শেখানো শুরু করা হয়। সেসব শিক্ষার্থী ছাড়াও যে-কেউ যখন প্রথম সি ভাষায় প্রোগ্রামিং শিখবে, তখন বইটি তার কাজে লাগবে। বইটি কেবল পড়লে হবে না, বইয়ের উদাহরণগুলো দেখে বুঝে তারপরে কম্পিউটারে টাইপ করে কম্পাইল ও রান করতে হবে। আউটপুট সঠিক আসলো কি না, বোঝার চেষ্টা করতে হবে, না বুঝলে বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তারপর অনুশীলনীর প্রতিটি সমস্যার সমাধান করতে হবে। আশা করি, বইটির সমস্যাগুলো অনুশীলন করলে শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিংয়ের ভিত্তি মজবুত হবে।


রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি

তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে মুশকান জুবেরিকে খুঁজে যাচ্ছে নুরে ছফা। তবে সে একা নয়, প্রবল ক্ষমতাবান আরেকজনও মরিয়া হয়ে উঠছে রহস্যময়ি এই নারীকে খুঁজে পেতে। সেই ক্ষমতাবানের সাহায্য নিয়ে নতুন উদ্যমে নেমে পড়ে ছফা, দ্রুতই আবিষ্কার করে মুশকান সম্পর্কে এতোদিন যা জানতো সবটাই মিথ্যে। বরং এখনকার গল্পটি অনেক বেশি যৌক্তিক আর বাস্তব। সত্য-মিথ্যার এক গোলকধাঁধায় ঢুকে পড়ে সে। কিন্তু তার কোন ধারণাই নেই, মুশকানের মুখোখুখি হলে কোন সত্যটি জানতে পারবে। এতোদিন এই রহস্যময়ি কোথায় ছিলো-এ প্রশ্নের চেয়েও বড় হয়ে ওঠে, কিভাবে ছিলো! আর পাঠক যখন সেটা জানতে পারবে তখন আরেকবার শিহরিত হবে, আবিষ্কার করবে মুশকানের প্রহেলিকাময় জগত।


ইট দ্যাট ফ্রগ

একটি চমৎকার সময়ে আমরা বেঁচে আছি। লক্ষ্য অর্জনের এত সম্ভাবনা, এত সুযোগ আজকের মত আর কখনও ছিল না। মানব ইতিহাসে কখনও কাউকে এভাবে আর এত বিকল্পে ডুবে থাকতে হয়নি। বাস্তবে এত এত ভালো কাজ রয়েছে- করে দেখানোর এবং এসব করার যোগ্যতাও আপনার রয়েছে। আপনি এসব করতে পারছেন তো?


যখন টুনটুনি তখন ছোটাচ্চু

টুনি স্কুলের বারান্দায় বসে মাঠে ছেলেমেয়েদের দৌড়াদৌড়ি করে খেলতে দেখছিল। তার বয়সী ছেলেমেয়েরাই সবচেয়ে বেশি কিন্তু টুনি তাদের মাঝে নেই। কীভাবে কীভাবে জানি তার মাঝে একটা বড় মানুষ বড় মানুষ ভাব চলে এসেছে, তাই সে আর তার বয়সী ছেলেমেয়েদের সাথে। মাঠে দৌড়াদৌড়ি করতে পারে না। টিফিনের ছুটিতে বারান্দায় বসে বসে তাদের খেলতে দেখে--মাঝে মাঝে মনে হয় সেটাতেই বুঝি মজা বেশি।


মস্তিষ্কের ক্যানভাস

এ বইটা গল্পের নয় কিংবা দর্শনেরও নয়। সাংঘর্ষিক অনুভূতির সংকলন বলা যেতে পারে। নাগরিক জীবনে প্রতিনিয়ত অনেক কিছু দেখেও না দেখার ভান করার বোকামি চতুরতার অসহায় বহিঃপ্রকাশ। কেউ অনুভূতি লুকিয়ে রাখে, কেউ চুপচাপ ব্যক্তিগত ডায়েরিতে লিখে রাখে, কেউবা ইন্টারনেটে প্রকাশ করে সারা পৃথিবীকে জানিয়ে দিতে চায়। বইয়ের কোথাও কোনো ধারাবাহিকতা নেই, নেই কোনো পক্ষপাত। একবার ঘর্মাক্ত রিকশাচালকের মাথায় বয়ে চলা কষ্টের কথা বলা হয়েছে তো আরেকবার শিল্পাঞ্চলের জ্যামে। নিজের বিশাল পাজেরো গাড়িতে বিরক্তি নিয়ে বসে থাকা শিল্পপতির মাথায় কী চিন্তা চলছে তা বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে। কখনো নারীর দৈনন্দিন সংগ্রামের কথা আবার কখানো। ক্রিকেটে জেতার আনন্দ আর ফুটবলে হেরে যাওয়া নিয়ে আক্ষেপ করা হয়েছে। বাংলাদেশকে নিয়ে। একবার অনেক আশাবাদী আবার পরেরবার হতাশার কথা বলা হয়েছে। সাধারণ বাংলাদেশি মস্তিষ্কে নিউরন সেলের বিক্রিয়াগুলোকে কালো হরফে আঁকার চেষ্টায় এই বই।


হাইজেনবার্গের গল্প

১৯৩৯ সালে শুরু হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। আটলান্টিক মহাসাগরের অপর পাশে যুক্তরাষ্ট্র তার বিখ‍্যাত “Manhattan Project” শুরু করে যেখানে রবার্ট অপেনহাইমার সাহেবের নেতৃত্বে প্রথম মার্কিন পারমাণবিক বোমা তৈরির গবেষণা চলছিলো। যুদ্ধে টিকে থাকতে হলো হিটলারকেও বানাতে হবে জার্মান এটম বোম! কিন্তু, কে বানাবে এই মারণাস্ত্র? হিটলার কড়া নাড়লেন হাইজেনবার্গের দরজায়। গত চার দশক ধরে যেই নামকড়া জার্মান বিজ্ঞানীরা পরমাণুর গঠনের বৈজ্ঞানিক ব‍্যাখ‍্যা দিতে দিন-রাত এক করে ফেলেছিলেন তারাই এবার শুরু করলেন জার্মান নিউক্লিয়ার রিসার্চ টীম — ইউরেনিয়াম ক্লাব। হাইজেনবার্গ হিটলারের শত্রু থেকে পরিণত হলেন মিত্রে।