Categories


শেরে বাংলা হইতে বঙ্গবন্ধু

পাকিস্তান ভাংগিয়া দুই দুই টুকরা হইয়াছে। পূর্বাঞ্চল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রে উন্নীত হইয়াছে। স্বাধীন বাংলাদেশ আজ বাস্তব সত্য। এই রুপেই সে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করিয়াছে। গনতন্ত্রী আধুনিক রাষ্ট হিসাবে গণ-প্রজান্ত্রী বাংলাদেশ যে বিশ্বের দরবারে তার যথাযোগ্য মর্যদারে সাথে স্থান দখল করিবে , সে সম্বন্ধে কারও মনে দ্বিধা সন্দেহের অবকাশ নাই।


কতো নদী সরোবর বা বাঙলা ভাষার জীবনী (হার্ডকভার)

কোথা থেকে এসেছে আমাদের বাংলা ভাষা? ভাষা কি জন্ম নেয় মানুষের মতো? বা যেমন বীজ থেকে গাছ জন্মে তেমনভাবে জন্ম নেয় ভাষা? না, ভাষা মানুষ বা তরুর মতো জন্ম নেয় না। বাংলা ভাষাও মানুষ বা তরুর মতো জন্ম নেয়নি, কোনো কল্পিত স্বর্গ থেকেও আসেনি। এখন আমরা যে বাংলা ভাষা বলি এক হাজার বছর আগে তা ঠিক এমন ছিল না। সে ভাষায় এ দেশের মানুষ কথা বলত, গান গাইত, কবিতা বানাত। মানুষের মুখে মুখে বদলে যায় ভাষার ধ্বনি। রূপ বদলে যায় শব্দের, বদল ঘটে অর্থের। অনেক দিন কেটে গেলে মনে হয় ভাষাটি একটি নতুন ভাষা হয়ে উঠেছে। আর সে ভাষার বদল ঘটেই জন্ম হয়েছে বাংলা ভাষার। হাজার বছর আগে প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা রূপান্তরিত হয়ে বঙ্গীয় অঞ্চলে জন্ম নিয়েছিলো এক মধুর - কোমল - বিদ্রোহী প্রাকৃত। তার নাম বাঙলা। 


বাঙলাদেশের প্রত্নসম্পদ

সুবিশাল ”বাঙলাদেশের প্রত্নসম্পদ” গ্রন্থটি শুধু কাগজের ভারেই ভারী নয়, অমুল্য হীরা জহওরাদিতে পূর্ন রত্নভান্ডারের মতো তথ্যেও পরিপূর্ন । শুধু প্রত্নভান্ডারের নয়, বাংলাদেশের ভৌগোলিক পরিচয় পাওয়া যাবে।


প্রসঙ্গ পুরাকীর্তি

আমাদের দেশের পুরাকীর্তি চর্চার মূল অনুষঙ্গগুলোর প্রাথমিক পরচিয় তুলে ধরা হয়েছে। পর্যাক্রমে এসেছে সে অনুৃষঙ্গগুলো ধরে রাখার জন্য আমাদের দেশে এ যাবৎ গৃহীত কার্যক্রম দৃষ্টান্ত।


Buildings of the British Raj in Bangladesh

The British period was not only one during which the British alone were responsible for constructions but also one during which magnificent palaces were built by local ruling class, in it style unique to Bengal. Although most of the grand monuments of the British period are located in and around Calcutta - the Job Charnock's factory-city established in 1692, - which eventually-occupied a premier position as the British capital of India between 1773 and 1912, the building remains of the period in Bangladesh are no less significant, if only less grandiose in scale. The author has, in this book, endeavored to follow the evolution of a European Renaissance style planted on its soil, on the basis of his field study of selected groups of monuments. Along with a number of photographs and colored plates, the book also presents a study, of the syncretic trend in the building art of the early 20th century when the fading Mughal style was fused with the European Renaissance. It covers, in brief, an account of old churches, British political and economic settlements, some magnificent palaces built by the local feudal nobles, Indigo-this and a few bridges. This is an excellent book, equally fascinating to the specialist as to the general reader with an interest in Bangladesh or in old buildings.


JOURNAL OF THE BANGLADESH NATIONAL GEOGRAPHICAL ASSOCIATION

Gradient changes of any morphology can be characterized mainly by the distinctive geo-environmental processes and anthropogenic parameters. The gradual change of an estuarine morphology can reflected by coastal morphodynamic behaviours. Generally an estuary contains a strong hydrogeomorphological, morphodynamical, sedimentological, chemical and bio-ecological zone.


জেলা, উপজেলা ও নদ-নদীর নামকরণের ইতিহাস

বাংলাদেশ প্রাচীন ভূখণ্ড। নদীমাতৃক হওয়ায় বাংলাদেশ জোয়ার-ভাটা আর জলসিঞ্চনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ভাঙ্গাগড়ার খেলায় নিয়ত গড়েছে আর ভেঙ্গেগড়ার খেলায় নিয়ত গড়েছে আর ভেঙ্গেছে।ফলে প্রাচীন হলেও এর প্রাচীনত্ব সর্বত্র অবিচ্ছিন্ন ছিল না।


বাংলাদেশের নদ-নদীর ইতিকথা

কৌশিকী নদীর তীরে বাস করতেন বিভাণ্ডক নামের এক মুনি এবং তার পুত্র ঋষ্যশৃঙ্গ। পুত্রের ব্রহ্মচর্যব্রত  সঠিকভাবে পালনের জন্যে বিভাণ্ডক তার পুত্রকে কখনও নারী জাতি সম্পর্কে কোনাে ধারণা দেননি। নারী জাতি সম্পর্কে ধারণাহীন অবস্থায় ঋষ্যশৃঙ্গ যৌবনে উত্তীর্ণ হন। এ প্রকৃতিবিরুদ্ধ ব্যাপার বিপত্তি ঘটায় প্রাকৃতিক পরিবেশে- অঙ্গ দেশের সমস্ত অঞ্চল জুড়ে দেখা দেয় খরা আর অনাবৃষ্টি। রামায়ণের এ মূল কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে বুদ্ধদেব বসু লিখেছেন তার বিখ্যাত তপস্বিনী ও তরঙ্গিণী’ নাটক; বাংলা সাহিত্যে এটি একটি উল্লেখযােগ্য সৃষ্টি।


শিবরামের মজার গল্প

কারাে ধার ধারি না, এমন কথা আর যে-ই বলুক আমি কখনওই বলতে পারি না। আমার ধারণা, এক কাবুলিওয়ালা ছাড়া এ-জগতে একথা কেউই বলতে পারে না। অমৃতের পথ ক্ষুরস্য ধারা নিশ্চিতা’; অকালে মৃত না হতে হলে ধার করতেই হবে।

ধার হলেও কথা ছিল বরং, কিন্তু তা-ও নয়। বাড়িভাড়া বাকি, তা-ও বেশি। , পাঁচশাে টাকা মাত্তর! কিন্তু তার জন্যেই বাড়িওয়ালা করাল মূর্তি ধরে দেখা দিলেন একদিন

আপনাকে অনেক সময় দিয়েছি, কোনাে অজুহাত শুনছি না আর ‘ভেবে দেখুন একবার, আমি তাকে বলতে যাই : ‘এই সামান্য পাঁচশাে টাকার জন্যে আপনি এমন করছেন! অথচ এক যুগ পরে একদিন আমি মারা যাবার পরেই অবিশ্যি আপনার এই বাড়ির দিকে লােকে আঙুল দেখিয়ে বলবে, একদা এখানে বিখ্যাত লেখক শ্রীঅমুকচন্দ্র বাস করতেন।

 


কার্ল মার্কস

ঈশ্বরের অস্তিত্বে কোনােদিনই বিশ্বাস করতেন না মার্কস। তিনি বললেন, প্রকৃতি মানুষের জীবনকে কিছুটা প্রভাবিত করলেও মানুষ প্রকৃতির প্রভাবকে চিরকাল মাথা পেতে নেয়নি, বরং নিজের প্রয়ােজনে প্রকৃতিকে রূপান্তরিত করে নিয়ে বেঁচে থাকে। দার্শনিক ফয়েরবাক মানুষকে সমাজ ও পরিবেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ব্যাখ্যা করতেন। মার্কস বললেন, তার এই ধারণা ভুল । মানুষ হচ্ছে সমাজবদ্ধ জীব। মানুষ একা থাকতে পারে না। তাই তাকে সমাজ গড়ে তুলতে হয়। পিএইচডি ডিগ্রির জন্য রচিত গবেষণাগ্রন্থের মুখবন্ধে মার্কস লিখেছেন, দর্শনের কাজ শুধু জগৎকে ব্যাখ্যা করা নয়, জগতের পরিবর্তন আনাও দর্শনের কাজ। ধর্ম বা ঈশ্বর নয়, দর্শন থেকেই মানুষ পাবে পরিবর্তনের প্রেরণা, জগৎ ও জীবন সম্পর্কে পাবে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি।