Categories


পিশাচ বাড়ি

সূচিপত্র
* আঁধারের আতঙ্ক
* পিশাচ বাড়ি
* ছায়ামানুষ
* ডাইনি
* অপারেশন
* চোখের আড়াল হলে
* কালীর অভিশাপ
* ফাঙ্গাস
* অশুভ প্রহর
* প্রতিবিম্ব
* বন্ধ ঘরের রহস্য
* সপ্তম সিতিমা
* শাহেরজাদী
* মধুচন্দ্রিমা
* পাশের ঘরে কে
* রুমমেট
* ড্রাকুলা
* অদ্ভুত লাশ
* কুহক
* ভূতুড়ে ক্রিকেট ম্যাচ
* পৈশাচিক সম্মোহন


কিশোর মুসা রবিন-পাতাল শহর

*অদ্ভুত এক ভূতুড়ে শহর, ছোটরা নাম দিয়েছে ডেথসিটি। দিনে দুপুরে এখানে ভূত বেরোয়, সূর্যাস্তের অপেক্ষা করে না। এই শহরে কিশোরের চাচার একটা বাড়ি আছে। মাঝে মাঝে সেখানে বেড়াতে আসে কিশোর, মুসা ও রবিন। এই শহরের স্থায়ী বাসিন্দা রোডা ও গ্র্যাহাম। একদিন পড়ল ওরা ভয়ানক এক ডেলি-দানবের খপ্পরে। তৈলাক্ত, স্বচ্ছ, থলথলে, কালো রঙের আঠালো দানবটা যখন গ্র্যাহামকে তুলে নিয়ে গেল, রুখে দাঁড়াল বাকি সবাই। এই দানবরহস্যের সমাধান না করে ছাড়াবে না গোয়েন্দারা।


তিন রহস্য (কিশোর-মুসা-রবিন)

জলাভূমির যে জায়গাটাতে এসেছে ওরা, সেটার নাম গেটর সােয়াম্প। রবিনের এক কাজিন রাস্টি কালাহানের সঙ্গে এসেছে ওরা। রাস্টি পেশাদার পাইলট। রােডেও খেলার ভক্ত। সময় পেলেই রােডেও দেখতে চলে আসে রাস্টি। মাঝে মাঝে নিজেও খেলায় অংশ নেয়। রােডেওর ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিল রবিন। রাস্টি ওকে বলে রেখেছিল, পরেরবার যখন রােডেও দেখতে যাবে, তিন গােয়েন্দাকেও সঙ্গে নেবে। কথা রেখেছে রাস্টি। নিয়ে এসেছে এবার। এভারগ্রেডের যে জায়গাটাতে এনেছে, তার নাম ‘গেটর সােয়াম্প।


ময়নাগড়ের বৃত্তান্ত

থানার সেপাই রামশরণ হনুমানজির মন্দিরে পুজো চড়িয়ে ভজন গাইছে। মন্দিরটা অবশ্য একেবারেই বেঁটে বকেশর। মাত্র হাততিনেক উঁচু, বড়জোর দু-হাত লম্বা আর আড়াই হাত চওড়া। ভিতরে অঙ্গুষ্ঠপ্রমাণ একটা মূর্তিও আছে। তবে তেল-সিঁদুর, শ্যাওলা আর ময়লায় মূর্তির মুখচোখ কিছু বােঝবার উপায় নেই। কিন্তু রামশরণ রােজ সকালে বিভাের হয়ে বেসুরাে গলায় ভজন গেয়ে তার ভক্তি নিবেদন করে। হনুমানজির উপর তার ভক্তির কারণ আছে। সময়টা রামশরণের খারাপ যাচ্ছে। তার মােষটাকে নিধুবাবু খোঁয়াড়ে দিয়েছেন, তার ছেলে শিউশরণ এবার নিয়ে

 


ডবল ফেলুদা

খবরটা জানা গেল খবরের কাগজ মারফৎ। ছােট করে লেখা খবর—অপ্সরা থিয়েটারের অভিনেতা নিখোঁজ। মহীতােষ রায় নাকি সন্ধ্যাবেলা থিয়েটার না থাকলে লেকের ধারে বেড়াতে যেতেন। গত পরশু, অর্থাৎ সােমবার, তিনি যথারীতি বেড়াতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেন নি। বাড়ির চাকর থানায় গিয়ে খবর দেয়। পুলিশ এই নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে।

ফেলুদা বিরক্ত হয়ে বলল, ‘লােকটাকে পই পই করে বলেছিলাম সাবধানে থাকতে, তার লেকে বেড়াতে যাবার কি দরকার ছিল ? যাই হােক, আমার কাছে যখন এসেছিলেন ভদ্রলোেক, তখন একবার ওঁর বাড়িতে যাওয়া দরকার। ঠিকানাটা মনে আছে ?

 


সাইমুম সিরিজ - ৪৭ : বসফরাসে বিস্ফোরণ

“সেভিয়ার অব ওয়ার্ল্ড র‌্যাশনাল ডোমেইন” (সোর্ড) অস্ত্রের জনক বিজ্ঞানী আন্দালুসিকে কিযন্যাপ করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবার পর বেপরোয়া হয়ে উঠেছে “থ্রি জিরো”.... দুনিয়ার তাবত মেটালিক বস্তু ধ্বংস করার অস্ত্র “ধ্বংসের নিরব দৈত্য” (ডাবল ডি) তাদের হাতে, কিন্তু মেটালিক ননমেটালিক অস্ত্র থেকে আত্মরক্ষার মোক্ষম অস্ত্র “সোর্ড” তাদের নেই... সোর্ডের ফর্মুলা হাত করার জন্যেই তারা পাগল হয়ে উঠেছে! কিন্তু আহমদ মুসার সাথে কৌশলের যুদ্ধে একের পর এক তারা হেরে যাচ্ছে। এমনকি ইন্তাম্বুলের প্রধান ঘাঁটিটিও তারা হারিয়েছে। “সোর্ডে'র উদ্ভাবক গবেষণাগার “আইআরটি” ধ্বংসের জন্যে ভয়ংকর অস্ত্র “ডাবল ডি” প্রয়োগ করেছিল তারা... কিন্তু “সোর্ড” তা ব্যর্থ করে দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত মরিয়া হয়ে তারা দেশের খোদ প্রেসিডেন্টকে পণবন্দী করার পরিকল্পনা করল, যাতে বিনিময় হিসাবে সোর্ডের ফর্মুলা ও সোর্ডের জনক বিজ্ঞানী আন্দালুসিকে তারা হাতে পায়... আহমদ মুসা কি পারবে এর মোকাবিলা করতে, পারবে কি “সোর্ডের ফর্মুলা ও বিজ্ঞানীকে রক্ষা করে উভয়কুল বজায় রাখতে? এই লড়াইয়ে কে জিতেছে ধ্বংসের অস্ত্র “ডাবল ডি”, না শান্তির অস্ত্র “সোর্ড”? এ লড়াইয়ের কাহিনীই হচ্ছে “বসফরাসে বিস্ফোরণ”


সোনার কেল্লা (ফেলুদা উপন্যাস ৩)

একটা চারমিনার ধরিয়ে পর পর দুটো ধোঁয়ার রিং ছেড়ে ফেলুদা বলল, ‘জিয়ােমট্রির বই বলে আলাদা কিছু নেই। যে-কোনও বই-ই জিয়ােমেট্রির বই হতে পারে, কারণ সমস্ত জীবনটাই জিয়ােমেট্রি। লক্ষ করলি নিশ্চয়ই—ধোঁয়ার রিংটা যখন আমার মুখ থেকে বেরােল, তখন ওটা ছিল পার্ফেক্ট সার্কল। এই সার্কল জিনিসটা কী ভাবে ছড়িয়ে আছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সেটা একবার ভেবে দ্যাখ। তাের নিজের শরীরে দ্যাখ। তাের চোখের মণিটা একটা সার্কল। এই সার্কলের সাহায্যে তুই দেখতে পাচ্ছিস আকাশের চাঁদ তারা সূর্য। এগুলােকে ফ্ল্যাটভাবে কল্পনা করলে সার্কল, আসলে গােলক—এক-একটা সলিড বুদ্বুদ, অর্থাৎ জিয়ােমেট্রি। সৌরজগতের গ্রহগুলাে আবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে এলিপটিভ কার্ভে। এখানেও জিয়ােমেট্রি। তুই যে একটু আগে জানালা দিয়ে থুক করে রাস্তায় থুতু ফেললি—অবিশ্যি ফেলা উচিত নয়—ওটা আনহাইজিনিক—নেক্সট টাইম ফেললে গাঁট্টা খাবি—ওই থুতুটা গেল কিন্তু একটা প্যারাববালিক। কার্ভে-জিয়ােমেট্রি। মাকড়সার জাল জিনিসটা ভাল করে দেখেছিস কখনও।


রাজবাড়ির রহস্য

টুক করে একটা শব্দ হতেই শৈবাল দত্তর ঘুম ভেঙে গেল। এত সহজে তাঁর ঘুম ভাঙে না। শব্দটা ঠিক যেন কোনও ঘরের ছিটকিনি খােলার শব্দের মতন। তিনি বেডসাইড টেবলের ঘড়িটা দেখলেন। অন্ধকারে ঘড়ির কাঁটাগুলাে জ্বলজ্বল করছে, এখন রাত দুটো বেজে কুড়ি মিনিট।

গতকাল রাতেও প্রায় এই সময়েই একটা গণ্ডগােলে তাঁর ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। সিড়ির কাছে একটা জোর শব্দ হয়েছিল হুড়মুড় করে। শৈবাল ছুটে গিয়ে দেখেছিলেন, দোতলা থেকে একতলায় নামার সিড়ির মাঝখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে দেবলীনা।

 


কালু ডাকাত

নীলপুর আর আশেপাশের গ্রামবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে কালু ডাকাতের অত্যাচারে। আজ এই গ্রামে তো কাল ঐ গ্রামে ডাকাতি করছে কালু ডাকাত আর তার দল। ভয়ে সন্ধ্যার পর কেউ দরজা জানালা খোলা রাখে না এই গ্রামগুলোতে। এই কালু ডাকাতকে ধরার প্রজেক্ট হাতে নেয় শিশিলিনের ক্ষুদে গোয়েন্দারা। কিন্তু তারা বুঝতে পারেনি কালু ডাকাত আর তার দলের সদস্যরা কতটা ভয়ংকর। গোপন ফাঁদ পেতে তারা বন্দি করে ফেলে লেলিনকে। হাত-পা মুখ বেঁধে তাকে নিয়ে যায় কাফনঝিলে। সেখানে লেলিনের চোখের সামনেই কবর খোঁড়া হয়। ঐ কবরে জ্যান্ত মাটি দেয়া হবে লেলিনকে। লেলিন মুক্তির জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করতে থাকে। একসময় বুঝতে পারে তার মুক্তির আর কোনো উপায় নেই। কারণ সে যে এখানে বন্দি তা কেউ জানে না। এমন কী শিশিরও না। তাহলে কে তাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাবে? আর কে আটক করবে কালু ডাকাত আর তার দলকে? শেষ পর্যন্ত কী শিশির উদ্ধার করতে পেরেছিল লেলিনকে? আর ধরতে পেরেছিল দুর্ধর্ষ কালু ডাকাত আর তার দলের ভয়ংকর সদস্যদের?


তিন গোয়েন্দা ভলিউম ১৪১

মেরি চাচী কিশােরকে বললেন, “তােকে খুব মিস করব!’ গাড়ি থামালেন এয়ারপাের্টে। র্যামিকে আমার ভালবাসা জানাস, কেমন?

কিশাের, মুসা আর রবিন ওদের বন্ধু র্যামি ডি ক্রুজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যােগ দিতে যাচ্ছে। ভারত মহাসাগরে কন্ট্রা নামে ছােট্ট এক দ্বীপরাষ্ট্রে বাস করে র্যামি। ওর বাবা-মা দ্বীপটির রাজা-রানী।

ছেলেরা মেরি চাচীকে জড়িয়ে ধরে বিদায় জানাল। এবার সাদা শার্ট আর কালাে প্যান্ট পরা এক লােক এক কার্টে ওদের মালপত্র তুলতে সাহায্য করলেন।