Categories


শেখ সাদী (র.) ১৫২ গল্প (হার্ডকভার)

খােরাসান রাজ্যের এক বাদশাহ সুলতান মাহমুদ ইবনে সবুক্তগীনকে স্বপ্নে দেখলেন, তার সারা শরীর পঁচে গলে মাটির সাথে মিশে গেছে। কিন্তু শুধু চোখ দুটি কোটরের মধ্যে ঘুরছে এবং তিনি চার দিকে দেখছেন। এ স্বপ্নের তাবির করার জন্য অনেক আলেমকে আহ্বান করা হল। সকল আলেমরা তার স্বপ্নের তাবির বর্ণনা করতে অপারগ প্রকাশ করলেন। কিন্তু। একজন দরবেশ সেখানে গিয়ে উপস্থিত হলেন এবং উক্ত স্বপ্নের তাবির বলে দিলেন, সুলতান মাহমুদ কবরে বসে এখন পর্যন্ত দেখছেন, তাঁর রাজ্য অন্যের হাতে চালিত হচ্ছে।


বিয়ে : স্বপ্ন থেকে অষ্টপ্রহর

আরবিতে সুকুনশব্দটি আল-হারাকাবা গতিশীলতার বিপরীত শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আরবি ব্যাকরণে আল-হারাকা একটি হরফের মাত্রার মতাে। এটি নির্দেশ করে কীভাবে হরফটি গতি পাবে বাকীভাবে উচ্চারিত হবে। যখন কোনাে অক্ষরের উপরে সুকূনপাওয়া যায় তখন অক্ষরটিকে মূল অক্ষরের মতাে করেই উচ্চারণ করতে হয়, সেখানে স্থির হতে হয় ৷ বিয়ের প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্য হিসেবে আল্লাহ সুকুন বা প্রশান্তি লাভের কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি আমাদের জন্য সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন যেন আমরা তাদের সাথে সুকুন তথা প্রশান্তি খুঁজে পাই। তাই এই চুক্তিটির প্রথম শর্ত হলাে, স্বামী-স্ত্রী দুজন দুজনের সাথে প্রতিজ্ঞা করছে যে তাদের যৌথ এ জীবনধারার প্রতিটি কাজকর্ম এমন হবে যা তাদের উভয়ের জন্য হবে সুকুন বা প্রশান্তির উৎস। তাদের আবাস-নিবাস, তাদের ঘনিষ্ঠতা, তাদের সহযােগিতা ও সহমর্মিতা—সবকিছুই হবে পারস্পরিক প্রশান্তির উৎস।

 

তারা আল্লাহকে সাক্ষী রেখে এই প্রতিজ্ঞা করছেন যে, তারা জীবনসঙ্গীর কাছ থেকে পূরণীয় একান্ত বিষয়গুলাে আর কোথাও খুঁজবেন না। তাদের চোখ, কান ও হৃদয় জীবনসঙ্গী ছাড়া অন্য কোথাও গিয়ে দিকহারা হবে না। তারা জীবনসঙ্গীর প্রতি কোনাে অবহেলা করবে না, তাকে ছেড়ে যাবেনা, ফেলে যাবে না।


ডেসটিনি ডিজরাপ্টেড (হার্ডকভার)

আমার জীবনের বড় একটি অংশ কেটেছে আফগানিস্তানে, যেখানে অধিকাংশ মানুষই মুসলমান। তাই ইউরােপ বা আমেরিকার মানুষ ইতিহাসকে যেভাবে চিনে, সেখান থেকে আমি একটু ভিন্নভাবে ইতিহাসকে জানার ও বােঝার সুযােগ পেয়েছি। যদিও আফগানিস্তানের সেই স্মৃতিগুলাে আসলে আমার জীবনের একেবারের গােড়ার দিকের কথা, যখন আমার নিজের ভাবনাগুলােই খুব একটা পূর্ণতা পায়নি। সেই সময়গুলােতে আমি ইতিহাস পড়তাম মূলত আনন্দ পাওয়ার জন্যই। আফগানিস্তানে সেই সময়ে স্থানীয়ভাবে ফার্সি ভাষার প্রচলন বেশি ছিল। আর ফার্সি ভাষায় তখন কিছু নির্দিষ্ট পাঠ্যবই ছাড়া তেমন কোনাে মানসম্মত ইতিহাসের বই পাওয়াও যেত না। তখনও পর্যন্ত আমি ভালাে বই বলতে যা পড়েছি, সেগুলাে আসলে ইংরেজীতে লেখা। ছােটবেলায় আমি ইতিহাসের উপর যেসব বই পড়েছিলাম, তার মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় বই ছিল ভি ভি হিলয়্যারের লেখা চাইল্ডস হিস্টোরি অফ দ্যা ওয়ার্ল্ড'। তবে বড় হয়ে যখন বইটি আমি পুনরায় পড়ার সুযােগ পাই, তখন আর তেমন ভালাে লাগেনি। কারণ, আমার চিন্তাগুলাে তখন আগের তুলনায় বেশ পরিনত হওয়ায় আমি বেশ ভালােভাবেই বুঝতে পারছিলাম, আমার ছােটবেলার ইতিহাসের সেই প্রিয় বইটি আসলে ইউরােপীয় মানসিকতায় লেখা। বইটির পাতায় পাতায় বর্ণবাদের কুৎসিত প্রভাবও আমি তখন অনুধাবন করতে পেরেছিলাম। ছােটবেলায় এই বইটি পড়ার সময় এই ব্যাপারগুলাে বুঝতে পারিনি কারণ আমার চিন্তা তখন খুব একটা পরিপক্ক ছিল না। তাছাড়া হিলয়্যারের গল্প বলার ধরনটাও ছিল খুবই হৃদয়গ্রাহী ও আকর্ষণীয়; যা আমাকে খুব অল্পতেই আকর্ষণ করেছিল। তখন আমার বয়স নয় কি দশ। ইতিহাসবিদ আরনল্ড টয়েনবি আমাদের ছােট্ট গ্রামটিতে এসেছিলেন। আমাদের গ্রামের নাম ছিল লস্করগাঁও। সম্ভবত গ্রামেরই কেউ তখন তাকে আমার কথা বলেছিল। হয়তাে বলেছিল এই গ্রামে একটি ছােট্ট ছেলে আছে, যার ইতিহাস নিয়ে বেশ আগ্রহ আছে। এই কথা শুনে টয়েনবি আমাকে তাঁর সাথে চা খাওয়ার দাওয়াত দেন। আমি সানন্দে সেই দাওয়াত কবুল করে কাছে যাই এবং মুগ্ধ নয়নে ব্রিটিশ সেই বৃদ্ধের সাথে কিছুটা সময় কাটাই।


গল্প শুনি আদব শিখি (হার্ডকভার)

যখন সালাম দিবে

আজ নবী-দিবস।

আমাদের প্রিয় নবীর

জন্ম দিন ।

হযরত মুহাম্মদ (সা.)

আমাদের নবী। তিনিই শেষ নবী

তিনিই সেরা নবী ! এই নবীই মানুষকে।

দেখালেন শান্তির পথ।

দেখালেন ভাল হওয়ার পথ। তাই নবী দিবসে দিকে দিকে আজ

আলােচনা সভা। আমরা এক সভায় রওয়ানা হলাম।

চেয়ে দেখি।

তারেক আসছে। তারেক বলল

আস্সালামু আলাইকুম। আমরা বললাম :

 

ওয়া আলাইকুমুস্ সালাম।


গুয়ান্তানামোর ডায়েরি (হার্ডকভার)

মধ্যরাতের পর কয়েকজন পুলিশ মুহাম্মদ ও আবদুল্লাহকে নিয়ে আমার কাছে এল। তারা জানাল, আপনার দুই ছেলেকে এখনই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আপনি আগামীকাল ছাড়া পাবেন। আমি আমার দুই ছেলেকে বিদায় জানালাম, তারা চলে গেল।

কিছুক্ষণ পর আরও কজন পুলিশ এল। তাদের সঙ্গে ছয়জন আরব বন্দী। তাঁদের কয়েকজনকে আমি আগে থেকে চিনতাম।

 

তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানলাম, সেই রাতে পাকিস্তানি পুলিশ আরও প্রায় ১০ জন আরবকে তাঁদের ঘর থেকে গ্রেপ্তার করে। তারা পাকিস্তান সরকারের অনুমােদিত দাতব্য সংস্থায় কাজ করতেন। তাদের সবার বৈধ কাগজপত্র ছিল। আটককৃত ১০ জনের ৬ জনকে আমার সঙ্গে একই সেলে রাখা হয়। বাকিদের রাখা হয় অন্য জায়গায়।


হারিয়ে যাওয়া মুক্তো

একসময় মুসলিমরা ছিল সবার ওপরে। ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, যে সময়ে আমরা আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সুন্নাহ আঁকড়ে ধরেছিলাম, সে সময়ে আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সম্মানিত করেছেন। আর যখন আমরা ইসলাম ছাড়া অন্য কিছুতে সম্মান খুঁজেছি, রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সুন্নাহর চেয়ে অন্য কিছুকে শ্রেষ্ঠ ভেবেছি, তখন পদে পদে লাঞ্ছিত হয়েছি। . রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, "সামনে তোমাদের জন্য রয়েছে ধৈর্য্যের সময়। সে সময় ধৈর্য্য অবলম্বন করা জ্বলন্ত অঙ্গার ধরে রাখার মতোই কঠিন হবে। (সে সময়ে) যারা ভালো কাজ করবে, তারা পঞ্চাশজনের সমপরিমাণ পুরস্কার পাবে।’ জিজ্ঞেস করা হলো, ‘হে আল্লাহর রাসূল! তাদের পঞ্চাশজনের সমপরিমাণ?’ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘তোমাদের পঞ্চাশজনের সমপরিমাণ।’ (আবু দাউদ, হাদিস নংঃ ৪৩৪১) কোনো কোনো বর্ণনায় এসেছে, ‘তারা হচ্ছে সেসব ব্যক্তি, যারা আমার সুন্নাহকে জীবিত করবে এবং মানুষকে তা শেখাবে’।” . একজন মুসলিম হিসেবে তাই আমাদের সবার কাছে সুন্নাহর গুরুত্ব স্পষ্ট। রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হাদিসের মাধ্যমে আমরা এটাও বুঝতে পেরেছি; ফিতনার সময়ে সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা, মানুষকে ভুলে যাওয়া সুন্নাহ স্মরণ করিয়ে দেয়া এবং হারানো সুন্নাহকে জীবিত করার মর্যাদা কতোখানি। ঈমানের দাবীদার কোনো মুসলিমই এটা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে না। রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হারানো সুন্নাহকে পুনরুজ্জীবিত করার তাড়না থেকেই 'হারিয়ে যাওয়া মুক্তো' বইটির জন্ম। আশা করব, এ বইটি পড়ে সবাই সুন্নাহকে অন্যভাবে দেখতে শিখবেন। ভালোবাসতে শিখবেন। তারা বুঝতে শিখবেন, সুন্নাহ মানে শুধু যোহরের আগের চার রাকাত কিংবা মাগরিবের পর দুই রাকাত সালাত নয়। সুন্নাহ হতে পারে দুপুর বেলা ঝুম বৃষ্টিতে ভেজা। কোথাও পরিষ্কার মাটি দেখলে খালি পায়ে হাঁটা। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে রাতের বেলা প্রিয়তমার সাথে হাঁটা। তার সাথে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলা।


কোরান শরিফ (আদি বাংলা অনুবাদ)

গিরিশচন্দ্র সেনের মূল অনুবাদের শতবর্ষকে সামনে রেখে ঢাকার খােশরােজ কিতাব মহল থেকে ১৯৮১ সালে একটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল । নিউজপ্রিন্টে ছাপা এ সংস্করণটিকে মূলানুগ মনে করা যেতে পারে । কিন্তু এ সংস্করণটি এখন দুষ্প্রাপ্য। ঢাকার দিব্য প্রকাশ থেকে ২০০৮ সালে একটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল। এ সংস্করণটি আমার সামনে ছিল। কিন্তু যাচাই করে দেখার সময় হয়নি। কিন্তু উপরিউক্ত দুটি (খােশরােজ ও দিব্য প্রকাশ) সংস্করণে গিরিশ সেনের দেওয়া কোরআনের নাম অনুসৃত হয়নি। দুটোতেই কোরআন শরীফ নাম দেওয়া হয়েছে। গিরিশ সেন বঙ্গানুবাদে প্রকৃতপক্ষে কী নাম দিয়েছিলেন তার প্রামাণ্য দলিলের ছবি আমরা এই সংস্করণের প্রথম পৃষ্ঠায় ছেপে দিয়েছি। এতে দেখা যাচ্ছে, গিরিশ সেন তার অনুবাদিত কোরআনের নাম দিয়েছিলেন, কোরাণ শরিফ। বিশ্বসাহিত্য ভবন থেকে ২০১৪ সালে প্রকাশিত এই সংস্করণটি এসব দিককে গুরুত্ব দিয়ে সম্পাদনা করা হয়েছে।


নবীদের কাহিনী (১-৩ খণ্ড)

আশরাফুল মাখলূক্বাত মানবজাতির কল্যাণে প্রেরিত বিধান সমূহ প্রচার ও প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আল্লাহ স্বীয় অনুগ্রহে আদম (আঃ) থেকে মুহাম্মদ (ছাঃ) পর্যন্ত যুগে যুগে যে অসংখ্য নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন, তাঁদের মধ্য থেকে মাত্র পঁচিশজন নবীর নাম আল্লাহ পবিত্র কুরআনে গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করেছেন এবং সত্যের পথে তাঁদের দৃঢ়চিত্ত সংগ্রামের হৃদয়গ্রাহী কাহিনী বর্ণনা করে মানবতার সামনে সত্য, ন্যায় ও সুন্দরের অনুপম মানদণ্ড উপস্থাপন করেছেন। এসব কাহিনী কেবল চিত্তবিনোদনের খোরাক নয় বরং এক অবিরাম বিচ্ছুরিত আলোকধারা, যার প্রতিটি কণায় বিকশিত হয় মানবতার সর্বোচ্চ নমুনা। নবী ও রাসূলগণের জীবনালেখ্য জানা ও তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অপরিহার্য কর্তব্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, বাংলা ভাষায় এ সম্পর্কে বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস খুবই দুর্লভ। তাই বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে মাননীয় লেখক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব বগুড়া জেলা কারাগারে অবস্থানকালে পবিত্র কুরআনের তাফসীর ও মিশকাতুল মাছাবীহের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা রচনার ফাঁকে ফাঁকে এই মূল্যবান পাণ্ডুলিপিটি সমাপ্ত করেন। মুহতারাম লেখক এই ইতিহাস রচনায় কেবল বিশুদ্ধ সূত্রগুলোরউপর নির্ভর করেছেন এবং যাবতীয় ইসরাঈলী বর্ণনা ও সমাজে প্রচলিত নানা উপকথা ও ভিত্তিহীন কেচ্ছা-কাহিনী থেকে সর্বতোভাবে মুক্ত থাকার চেষ্টা করেছেন। তাঁর সবচেয়ে মূল্যবান সংযোজন হ’ল আম্বিয়ায়ে কেরামের জীবনী থেকে বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে শিক্ষণীয় বিষয়সমূহ পাঠকের সামনে তুলে ধরা। মার্চ’১০-যে ১৩জন নবীর জীবনী নিয়ে ১ম খণ্ডের ‘প্রথম সংস্করণ’ বের হবার পর কয়েক মাসের মধ্যে সব কপি শেষ হয়ে যায়। এবারে ২য় সংস্করণে কিছু সংযুক্তি ও বিযুক্তি ছাড়াও বইয়ের শেষে ‘প্রশ্নমালা’ সংযোজন করা হয়েছে, যা ব্যস্ত পাঠক ও শিক্ষক-ছাত্রদের জন্য সহায়ক হবে। বাকী ১১ জন নবীর জীবনী নিয়ে ২য় খন্ড এবং শেষনবী মুহাম্মদ (ছাঃ)-এর জীবনী নিয়ে ৩য় খণ্ড সত্বর বের হবে ইনশাআল্লাহ। আমরা দৃঢ় আশাবাদী যে, এর মাধ্যমে পাঠকসমাজ মানবজাতির প্রাচীন ইতিহাসের পাদপীঠে নিজেদেরকে নতুনভাবে মূল্যায়ন করতে সক্ষম হবেন এবং নবীগণের উন্নত জীবনকে উত্তম আদর্শ হিসাবে গ্রহণ করার প্রেরণা লাভ করবেন।


রাসূলের চোখে দুনিয়া (পেপারব্যাক)

আবু হুরায়রা (রদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনাে কোনাে খাবারের দোষ অন্বেষণ করতেন না: পছন্দ হলে খেতেন, নতুবা চুপ থাকতেন। [তুলনীয়: হাদীস নং ১১] এক ইয়াহূদির নিমন্ত্রণে নাবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাড়া দিয়েছিলেন [১৫] আনাস (রদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ‘এক ইয়াহুদি রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যবের রুটি ও বাসি গন্ধযুক্ত চর্বি খাওয়ার জন: ডাকলে তিনি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন।

দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তাঁর নিকট কোনাে খেজুর ও পানি ছিল না। [১৬] কুররা ইবনু ইয়াস মুযানি (রদিয়াল্লাহু আনহু) তাঁর ছেলেকে বলেন, ‘আমরা এক দীর্ঘসময় আমাদের নাবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে অতিক্রম করেছি, যখন আমাদের নিকট দুই কালাে খাবারের কোনােটিই ছিল না। তুমি কি জানাে, দুই কালাে খাবার কী? ছেলে জবাব দিলেন, না।' তিনি বললেন, ‘খেজুর ও পানি।

তিনি কখনাে পেটভরে গমের রুটি খাননি [১৭] আয়িশা (রদিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, “হায় আফসােস! নাবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন; তিনি তাে পেটভরে গমের রুটি খাননি!

 

[৩৬]


সহীহ মাসনূন ওযীফা (পেপারব্যাক)

কুরআন করীমে শতাধিক স্থানে সালাতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সালাতের পদ্ধতি ব্যাখ্যা করা হয়নি। বিভিন্ন স্থানে রুকু করার বা সেজদা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ‘যেভাবে তোমাদের সালাত শিখিয়েছি সেভাবে সালাত আদায় করা।’ কিন্তু কুরআন করীমের কোথাও সালাতের এই পদ্ধতিটি শেখানো হয়নি। ‘সালাত’ বা ‘নামায’ কী, কথন তা আদায় করতে হবে, কখন কত রাকায়াত আদায় করতে হবে, প্রত্যেক রাক‘আত কী পদ্ধতিতে আদায় করতে হবে, প্রত্যেক রাক‘আতে কুরআন পাঠ কিভাবে হবে, রুকু কয়টি হবে, সিজদা কয়টি হবে, কিভাবে রুকু ও সেজদা আদায় করতে হবে…ইত্যাদি কোনো কিছুই কুরআনে শিক্ষা দেওয়া হয়নি।


বন্ধন (হার্ডকভার)

যে কোনাে পরিবারের যাত্রা শুরু হয় বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে। এই বন্ধন একটি পবিত্র বন্ধন। যার পরতে পরতে রয়েছে বরকতের ছড়াছড়ি। কিন্তু আমাদের সমাজে এই বরকতময় বন্ধনের শুরুটা হয় নানারকম অ-বরকতী কাজের। মধ্য দিয়ে। সুন্নাহ পরপিন্থী নানাবিধ কার্যকলাপ ও রুসুম-রেওয়াজ পালন করার মাধ্যমে। যার ফলে শেষ পর্যন্ত বরকতময় এই বিবাহ-বন্ধনে বরকত আর থাকে । এর পরণতি হল সংসার জীবনে নানাবিধ ঝগড়া-কলহ আর অশান্তি। ক্ষেত্রবিশেষ ডিভাের্স-ছাড়াছাড়ি।

উস্তাদ আমাদের সমাজে বর্তমানে বিয়ে নিয়ে যেসব জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে তা সম্পর্কে আলােচনা করেছেন এবং নবীজির সুন্নাহের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

নবীজির উম্মতের কাউকে আমরা ছুঁড়ে ফেলে রাখি না। সমাজের কোনাে অংশকে অচল রেখে গােটা সমাজ এগিয়ে যেতে পারে না। তাই বিয়ের ক্ষেত্রে তিনি বিধবা কিংবা তালাকপ্রাপ্ত নারীদের যথাযােগ্য সম্মান দিয়েছেন এবং সমাজে তাদেরকে বাঁকা চোখে দেখার ভ্রান্তির কথা তুলে ধরেছেন।

আবার বিয়ে নিয়ে নারীদের মতামত কে গ্রাহ্য না করা, তাদেরকে কাঁধের বােঝা মনে করার মতাে ধারণারগুলােরও অপনােদন করেছেন। আল্লাহ বলছেন বিয়ের সকল প্রক্রিয়ায় বিশেষ করে মেয়েদের সক্রিয় ভূমিকা থাকবে। তাদেরকে সমাজের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়াটা অন্যায়। বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন যাতে আল্লাহর রহমত থাকে। কিন্তু আমাদের নানান ভুলের কারণেই আমরা এই রহমতের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হই। তাই বিয়ের সঠিক উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জানতে হবে।

 

স্বামী-স্ত্রী উভয়ের সহযােগিতায় বিয়ের সম্পর্ক টিকে থাকে। তাই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে যথেষ্ট স্বচ্ছতা, বিশ্বাস এবং সম্মান থাকা প্রয়ােজন। কুরআন মাজীদে আল্লাহ তাআলা স্বামীকে যেমন মর্যাদা দিয়েছেন ঠিক তেমনি স্ত্রীর প্রতি তার কর্তব্য-ও স্পষ্টকরে উল্লেখ করেছেন। পারস্পরিক দাম্পত্য সম্পর্কে সমস্যা আসে তখনই যখন আমরা আমাদের প্রদত্ত অধিকার আদায়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠি। অথচ নিজের কর্তব্যের ব্যাপারে বেখবর থাকি।


উল্টো নির্ণয় (পেপারব্যাক)

উল্টো নির্ণয় বই টা নাস্তিকদের কঠিন প্রশ্নের জবাবে কোরআনের আলোকে বিজ্ঞানের বিবর্তনে যৌক্তিক ব্যখ্যা দিয়ে ইশ্বর আছেন তার উপযুক্ত প্রমাণ দিয়েছেন। যারা শুধুমাত্র বিজ্ঞানকে বিশ্বাস করে, আল্লাহ নেই এই অদ্ভুত যুক্তি দেখিয়েছেন। তাদের যুক্তির উপর পাল্টা যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে, পৃথিবীর স্রষ্টা অবশ্যই কেউ আছে। এই বিশ্বজগৎ আপনা আপনি সৃষ্টি হয় নি। রহস্যময় মহাবিশ্বেরর সব রহস্যই যেখানে উৎঘাটন করতে পারেনি।


ছালাতুর রাসূল (ছাঃ)

সঠিক নিয়মে নামাজ পড়ার জন্য এটা একটা ভাল মানের বই । এই বইয়ে নামাজের যে দলিল দেওয়া হয়ছে তার হাদিস নাম্বার দেওয়া আছে । যে কেও ইচ্ছা করলে হাদিস নাম্বার মিলিয়ে দেখতে পারে । বইটি কোন একটি মাযহাবের জন্য না, বইটা সকলের জন্য । যদি সঠিক নিয়মে নামাজ পড়তে চান , তাহলে একবার হলেও বইটি পড়তে পারেন ।নামাজই প্রধান ইবাদত, তাই এই নামাজ সঠিক নিয়মে পড়া দরকার ।সঠিক নিয়ম না জানলে নামাজ কবুল হবে না। এই জীবনে নিজের জন্য কিছু কিনতেগেলে অনেক চিন্তা করি , যে কোনটা ভাল হবে ?


আল কুরআন এক মহাবিস্ময়

ভূমিকা

আল কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান : ডঃ মরিস বুকাইলি

আল কুরআনে ভ্রণতত্ত্ব : ডঃ কিথ এল. মূল 

আল কুরআন - এক মহাবিস্ময় : গ্যারি মিলার

পরিশিষ্ট : খোন্দকার রোকনুজ্জামান

বিস্ময়ের সেকাল

বিস্ময়ের একাল


ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান (হার্ডকভার)

মনে আছে তালেবানের হাতে বন্দী সেই খৃস্টান নারী সাংবাদিকের কথা? ২০০১ সালে আমেরিকার সন্ত্রাসবাদী যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আফগানিস্তানে তালেবানের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অপহৃত হয়েছিলেন এ নারী সাংবাদিক এবং পরবর্তীতে মুক্তি পেয়ে গ্রহণ করেছিলেন ইসলাম। শুধু তাই নয়, ইসলাম গ্রহণের পর তিনি হয়ে উঠেন ইসলামের একজন অকুতোভয় দায়ি। মনে আছে সেই সাহসী নারীর কথা? পুরো পশ্চিমাবিশ্বকে যিনি কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন তার আত্মজীবনী বয়ান করে। তার নাম ইভন রিডলি। পশ্চিমাবিশ্বে যিনি এক বিস্ময়ের নাম! ‘ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান’ তারই আত্মজীবনী গ্রন্থ। যেখানে তিনি টুইন টাওয়ার হামলা থেকে শুরু করে সংবাদ সংগ্রহের জন্য তার আফগান যাত্রা, ওয়ার অন টেরর, তালেবানের হাতে বন্দী হওয়া, মুক্তি, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার চমকপ্রদ কাহিনি বর্ণনা করেছেন নিঃশঙ্কোচে। ইউরোপ ও আমেরিকায় ইসলাম নিয়ে যে ভীতি ও শঙ্কা দিন দিন ঘৃণার জন্ম দিচ্ছে, কীভাবে পশ্চিমারা ইসলাম ও মুসলিমদের দোষী সাব্যস্ত করে পৃথিবীর সামনে উপস্থাপন করছে, নির্দোষ মানুষকে কীভাবে সন্ত্রাসী, জঙ্গি, মানবতার শত্রু বলে চিহ্নিত করছে- তার এক নির্মোহ বয়ান এ গ্রন্থ।


মুক্ত বাতাসের খোঁজে

আঁধার! নীল রঙের আঁধার! এক অদ্ভূত আঁধার! পর্নোগ্রাফি! মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে ঘরে ঘরে। নগরে, গ্রামে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাইকে অক্টোপাসের শুঁড়ের মতো জড়িয়ে ধরেছে।চিন্তায় বুনেছে ধ্বংসের বীজ। গ্রাস করে নিয়েছে সবকিছু। ছিনিয়ে নিয়েছে নির্ভাবনাময়,পবিত্র শৈশব,কৈশোর, মৌলিক প্রেম।মানবতা। . আমরা পাত্তা দেইনি। ভালোমানুষির ভান ধরে থেকেছি, চোখবুজে অস্বীকার করতে চেয়েছি বাস্তবতা। ভেবেছি এভাবেই একদিন সকালের দেখা পাব, কেটে যাবে নীল রঙের আঁধার। . আমরা ভুল করেছি। আমরা ভুল ছিলাম। আজ সেই ভুলের মাসুল দিতে হচ্ছে আমাদের কড়ায় গন্ডায়। অজস্র ধ্রুপদী প্রেমিক,মৌলিক মানুষ,আর স্নিগ্ধ নারীদের হৃদয় ভেঙ্গে গিয়েছে। মমতাময়ীদের পাখির নীড়ের মতো চোখে নেমেছে অশ্রুর ঝুম বৃষ্টি, রঙ্গিন স্বপ্ন ঝরিয়ে ফেলেছে মুকুলেই। . শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, অজাচার, হত্যা, মানবপাচার, মাদকব্যবসা, এইডস, সমকামিতা,হতাশা, আত্মহত্যা,বিবাহ বিচ্ছেদ আরো কতো কিছুর পেছনে কলকাঠি নাড়ছে এই নীল আঁধার তার হিসেব আমরা করিনি।


নীল অপরাজিতা (হার্ডকভার)

আর সেইজন্য ২০ দিনের জন্য গ্রামে আসা। গ্রামের পরিবেশে এবং শহরের পরিবেশের মধ্যে কোন পরিবেশে গল্প লেখা জমে নীল অপরাজিতায় হবে তার অগ্নীপরীক্ষা। গ্রাম সম্পর্কে লেখক শওকতের খুব একটা ধারনা ছিল না কিন্তু বজুলুর রহমান গ্রাম সম্পর্কে বলায় তার এমন ধারনা হয়েছে যে শেষ পর্যন্ত গ্রামে আসলেন কিন্তু বজুলুর রহমানের বলা গ্রামের সাথে এই গ্রামের কোন মিল নেই। প্রথম কথা বর্ষাকাল হওয়া সত্বেও কোন ব্যঙ্গের ডাক শুনতে পাচ্ছেন না তিনি। বর্ষাকাল তাহলে ব্যঙ ডাকবে না কেন? লেখা বাদ দিয়ে শওকাত খুজতে লাগলেন সেই রহস্য। পেলেও গেলেন অদ্ভুত সব সমাধান। গ্রামে এসেছেন কোলাহল মুক্ত পরিবেশে লেখালেখি করতে কিন্তু এটা যেন অপূরণীয় কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। কারন গ্রামে এমন সব মানুষদের সাথে পরিচয় হচ্ছে যারা অনর্গল কথা বলতে ভালবাসে। অপরজন বিরক্ত হল কি হলনা সেদিকে তাদের খেয়াল নেই।