Categories


খনামিহিরের ঢিপি

ভারী ভারী পর্দাগুলােকে টেনে টেনে জানলা ছায়, কাচ ছায় ঈশা ঘরে ঘরে ঘুরে ঘুরে। হালকা হলুদের ওপর এক বর্ণচ্ছায় গাঢ় হলুদ মােটিফ বসানাে চমৎকার পর্দা সব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। কেননা এ তাে রৌদ্রশােষক রং নয় একেবারেই। ঘন সবুজ, গাঢ় মেরুন কি খয়েরি ছিল ঠিকঠাক রং। কিন্তু রুচির সঙ্গে প্রয়ােজনের প্রায়ই মতে মেলে না। সাত হাজার টাকার পর্দা কিনে শেষ শীতে মুখ আলাে করে ফিরেছিল দম্পতি। হালকা চন্দন দেওয়াল। তাতে হলুদ পর্দার আভা সিলিং পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে। কী সুন্দর! এখন রােদের তাপের সঙ্গে নিজের তাপ যােগ করে, ফেরত পাঠাচ্ছে সেই শখের পর্দা।


বাংলা বাঙালি বাংলাদেশ

হিন্দু ধর্মের ঈশ্বরের মতােই বাঙালির আড্ডা নিরাকার এবং সাকার। একই সঙ্গে স্পষ্ট এবং রহস্যময়। বাঙালি জীবনের সঙ্গে কোথায় যেন এর শেকড়টি ছড়িয়ে আছে অনেক দূর পর্যন্ত। যদিও হালফিলের টি ভি আর ভি সি আর-এর দৌরাত্ম্য বাড়ির বিখ্যাত আড্ডাগুলিতে প্রায় ছেদ টেনে দিয়েছে। অত সময় নেই—এ যুক্তিতে চায়ের দোকান বা রকের আড্ডা স্তিমিত প্রায়। কারণ বেশির ভাগ চায়ের দোকানে। যে প্রভাতী খবরের কাগজ ও ডবল হাফ চা নিয়ে আড্ডা বসত, তার গুরুত্ব অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে টেলিভিশনের খবর পাঠ। আর ষাট-সত্তরের চায়ের দোকানে দোকানে রাজনৈতিক আলােচনায় যে উত্তাপ ও উত্তেজনা ছিল, তার অনেকটাই এখন নিছকই স্মৃতি মাত্র।


নিবেদিতা রিসার্চ ল্যাবরেটারি

নিজের চুরুটটা ধরিয়ে নিয়ে জীমূতবাহন এবারর বেশ জাঁকিয়ে বসলেন। অনেকদিন পরে যেন সময়বয়সী এক বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা মারার সুযােগ পেয়েছেন। চুরুটটা হাতে নিয়ে ঠোঁটটা মুছে ফেলে বললেন, “মেয়েমানুষ বলা থেকে খারাপ গালাগালি তখন ছিল না—আমরা ভয়ে ভয়ে তাই চুরুট চচা আরম্ভ করেছিলুম। নিতান্ত পয়সা না থাকলে বিডি খেতাম।”