Categories


নাসিরুদ্দিন হোজ্জার ১০০ গল্প

মােল্লা নাসিরুদ্দিন আর তার এক বন্ধু একদিন ঠিক করলেন তাঁরা একটা বাগানে গিয়ে পােলাও রান্না করে খাবেন। হাঁড়িকুড়ি, মাল-মসলা নিয়ে বাগানে গেলেন তাঁরা। বন্ধু বললেন, ভাই নাসিরুদ্দিন, আমি তাে কিছুই পারি না। উনান ধরাতে পারি না, হাঁড়ি চড়াতে জানি না। গাজর কাটতেও পারি না। আমি বরং একটু ঘুমিয়ে নিই। রান্না হলে আমাকে ডেকে তুলল। গরম গরম পােলাও খাওয়া যাবে।

নাসিরুদ্দিন উনান ধরালেন, গাজর কাটলেন, হাঁড়ি চড়ালেন। রান্নাও করলেন একাই। তারপর পেট ভরে পােলাও খেয়ে আচ্ছা করে ঢেকুর তুলতে তুলতে বাসন মাজতে লাগলেন। এমন সময় ঘুম থেকে উঠে চোখ ডলতে ডলতে বন্ধুটি বললেন, নাসিরুদ্দিন, আমাকে না ডেকে গােগ্রাসে একলাই পােলাও গিললে তুমি! অসভ্য, বর্বর, লােভী কোথাকার!'

নাসিরুদ্দিন বললেন, 'কী করব বন্ধু, তুমি তাে কিছুই পারাে না, কিছুই জানাে না। তাই মনে হলাে পােলাওটাও খেতে জানাে না তুমি। তাই একাই খেলাম রান্না করা পােলাও।'

 


মহাবিপদে পাঁচ গোয়েন্দা

ডিটেকটিভ ফাইভের মেইলটা খুলেই চমকে উঠল তৌশি। পল্লবীর সাতানব্বই নম্বর রোডের চারশ তিন নম্বর প্লটে যে ছয়তলার বিল্ডিংটা আছে, তার পাঁচতলার বাম দিকের ফ্ল্যাটে একটা খুন হবে-ঠিক সাড়ে তিন ঘন্টা পর! মেইলটা কখন পাঠানো হয়েছে দ্রুত সেটা দেখে নিল তৌশি। এক ঘন্টা পঞ্চাশ মিনিট আগে। দ্রুত একটা হিসেব করে ফেলল সে।.... এক ঘন্টা চল্লিশ মিনিট পর খুন হবে। কপাল কুঁচকে ফেলল তৌশি। মেইলটা আবার পড়তে শুরু করল সে- হ্যালো ডিটেকটিভ ফাইভ, তোমাদের কাউকে কখনো দেখি নি, চিনিও না। তবে নাম শুনেছি তোমাদের। মেইল অ্যাড্রেসটাও কোথায় যেন পেয়েছিলাম, লিখেও রেখেছিলাম ডায়রিতে। এখন থেকে ঠিক সাড়ে তিন ঘন্টা পর, সন্ধ্যার আধাঘন্টা পরই, নিচের ঠিকানায় একটা খুন হবে। এই খুনটা ঠেকাতে গিয়েই তারা পড়ে গেলে বিপদে, তারপর মহাবিপদে!


লাবু এলো শহরে

লাবু গাছের ডালে পা ঝুলিয়ে বসে পাখির বাচ্চটাকে ডাকলাে, “আয়। আমার কাছে আয়।” পাখির বাচ্চাটা অসম্ভব সুন্দর, মাথাটা টুকটুকে লাল, পেটের নিচে হলদে রংটা প্রায় সােনালির মতাে। লাবুকে বিশ্বাস করা ঠিক হবে কি-না সেটা নিয়ে যেন খানিকক্ষণ ভাবল, তার পর খুব সাবধানে এক পা এগিয়ে এলাে। লাবু পাখির বাচ্চাটাকে সাহস দিয়ে বলল, “তাের কোনাে ভয় নেই, এই দেখ আমি তাের জন্যে কতাে মজার খাবার এনেছি!”

পাখির বাচ্চাটা লাবুর কথার উত্তরে কিচির মিচির করে একটু শব্দ করল, তারপর আবার ঘাড় বাঁকা করে লাবুকে দেখলাে, তারপর আবার সাবধানে এক পা এগিয়ে এলাে। লাবু বলল, “গুড বয়!” পাখিটা আরাে একটু এগিয়ে এসে লাবুর হাত থেকে রুটির টুকরােটা নিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে একটু সরে গিয়ে সেটা ঠুকরে ঠুকরে খেতে শুরু করে। লাবু খুশি হয়ে বলল, “কী? আমি তােকে কিছু করেছি? করেছি কিছু?”

 


চীনের রূপকথা

সরু চিলচিলে এক নদীর তীরে বাস করত এক জেলে। বয়স তার বেশি নয়। সঙ্গে থাকত তার বুড়ি মা। ছেলেটি রােজ নদীতে যেত মাছ ধরতে। যা পেত তাই নিয়ে যেত হাটে। মাছ বিক্রির টাকা নিয়ে কোনােমতে সংসার চলত ওদের।

একদিন। ছেলেটি নদীতে জাল ফেলে ছােট্ট একটি সােনালি মাছ পেল। রােদের আলােয় চিকমিক করছে মাছটা। ছেলেটি মহাআনন্দে মাছটি নিয়ে এল মাকে দেখানাের জন্য। মা মাছ দেখে মহাখুশি। মাছটি বিক্রি করে ভালাে পয়সা পাওয়া যাবে। 

 কিন্তু ছেলেটি বলল,

মা, মাছটি আমি রাজাকে উপহার দিতে চাই। রাজা নিশ্চয়ই খুশি হয়ে কিছু-না-কিছু উপহার দেবে আমাকে।

মা বললেন,

বড়মানুষেরা খুব খেয়ালি হয়। রাজা উপহার পেয়ে না জানি কী করেন! কী দরকার রাজাকে মাছ উপহার দেয়ার?

ছেলেটি মায়ের কথা শুনল না। ছেলেটি সােনালি মাছটি নিয়ে গেল রাজার কাছে। রাজা সিংহাসনে বসে ছিলেন আরাম করে। তার পাশে বসে আছে এক মন্ত্রী। বড় ভয়ংকর তার চেহারা। কালাে চুমরানাে গোফ আর লাল টকটকে দুটি চোখ।

 


ইংল্যান্ডের রূপকথা

ইংল্যান্ডে প্রচুর পরিমাণে স্বদেশী রূপকথার সন্ধান পাওয়া যায়। আইরিশ, স্কটিশ এবং ব্রিটিশ জাতির মধ্যে ঐতিহ্যবাহী রূপকথার গল্পের প্রচলন রয়েছে সুদীর্ঘকাল ধরে। এই বইয়ে ইংল্যান্ডের কয়েকটি রূপকথার গল্প সংকলিত হয়েছে। ইংল্যান্ডের রূপকথার নিজস্বতা রয়েছে। একটু দীর্ঘ ও প্রলম্বিত ধাচের গল্প এগুলাে, বীরতু ও শৌর্যগাথাই এইসব গল্পের মূল বৈশিষ্ট্য। কাহিনীর পর কাহিনীর গ্রন্থনাতে একেকটি গল্প যেন পুষ্পমালার মতাে গড়ে উঠেছে। গুচ্ছ গুচ্ছ স্তবকে তৈরি হয়েছে অনুপম একেকটি রূপকথার অবয়ব। বাংলার রূপকথার ভঙ্গির সঙ্গে ইংল্যান্ডের রূপকথার তেমন মিল নেই। বাংলার রূপকথা যেমন কাব্যময় তেমনই দ্রুত গতিবেগসম্পন্ন। ইংল্যান্ডের রূপকথায় কাহিনীর ঘনঘটার প্রতি পক্ষপাত বেশি।

চরিত্রগুলাে বীরত্বব্যঞ্জক। নৈতিকতার জয় আর অত্যাচারীর পরাজয় এইসব গল্পের প্রধান উপপাদ্য বিষয়। জ্যাক ও শিমগাছ ইংল্যান্ডের একটি বহুল প্রচলিত গল্প । দরিদ্রঘরের সন্তান জ্যাক দৈত্যের ধনসম্পত্তি সংগ্রহ করে বীরের বেশে কীভাবে ধনী হয়ে উঠল সেই প্রেক্ষাপটে গল্পটি তৈরি হয়েছে। এই একটি গল্প ব্যবচ্ছেদ করলেই ইংল্যান্ডের রূপকথার মূল রূপটি ধরা পড়ে। দৈত্য ও মলির গল্প-তেও সেই চেতনার ঐক্যগত সূত্র খুঁজে পাওয়া যাবে। জাদু আর জাদু, পৃথিবীর শেষ ঝরনা, মাছের মুখে আংটি গল্পগুলাে পড়লেই টের পাওয়া


মালাকাইটের ঝাঁপি

ভূমিদাস-প্রথা অনেকটা দাসপ্রথার মতােই। এরা মনিবের জমিতে কৃষিকাজ করতে বাধ্য থাকে। জমি ছেড়ে অন্য কোথাও যাবার এদের অধিকার থাকে না এবং মনিব এদের ইচ্ছেমতাে অন্য কাজেও লাগাতে পারে। লেখকের দাদিকে তাঁর জন্মভূমি সিসের্তে থেকে জোর করে পােলেয়ার পুরনাে খনিতে পাঠানাে হয়েছিল, কারণ সেখানে মেয়ের সংখ্যা ছিল কম। তার ভাষায় “ওদিকের পথটা ছিল মেয়েদের চোখের জলে ভেজা।” কারণ মেয়েরা তাদের মনিবের ইচ্ছেমতাে যে-কোনাে দাসকে বিয়ে করতে বাধ্য ছিল। লেখকের পিতার আমলে ভূমিদাস-প্রথা লােপ পায়। বাঝােভ তাঁর স্বাধীনচেতা কারিগর পিতার সাথে এই বিশাল বৈচিত্র্যপূর্ণ পার্বত্য এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছেন; জেনেছেন সেখানকার প্রচলিত উপকথা, কিংবদন্তি, ইতিহাস।


নরওয়ের রূপকথা

রূপকথার গল্প বলতে বােঝায় ছােটদের মনভােলানাে কথা ও কাহিনী। কিন্তু সব রূপকথার গল্পই যে মনভােলানাে এমনটি বলা যাবে না। রূপকথার গল্পে রূপকের আড়ালে কঠিন বাস্তব জীবনের সুখ-দুঃখ হাসি-কান্নার ছবি আঁকা থাকে। মায়াবী ভাষার জাদু-পরশে ফুটিয়ে তােলা হয় স্বপ্ন-বাস্তবের এক বিচিত্র জগৎ। রূপকথার গল্প জীবনবিচ্ছিন্ন কোনাে ব্যাপার নয়। সব দেশেই রূপকথার গল্পের সমাদর রয়েছে। একটি জাতি শিল্প-সংস্কৃতিতে কতটা ঋদ্ধ, কতটা উন্নত তার অন্তত একটা প্রমাণ সেই জাতির লােকসাহিত্য। রূপকথা বড় অর্থে লােকসাহিত্যের অংশ। সে কারণে রূপকথার কোনাে প্রথাবদ্ধ ব্যাকরণ নেই। ইংরেজিতে Fairy tale কিংবা Folk tale-এর অন্তরালে নতুন-পুরনাে সব রূপকথার গল্পের অধিষ্ঠান। Folk tale মানে যেমন পরির গল্প নয়, ঠিক তেমনি বাংলার রূপকথার গল্প মানে রানি আর রাক্ষস-খােক্কসের গল্প নয়। রূপকথার গল্প মূলত মানবজীবনেরই গল্প। এগুলােতে রূপকের আড়ালে জীবনের, পশুপাখির চরিত্রের মধ্য দিয়ে চিরন্তন মানব-হৃদয়ের কথাই বলা হয়।

 


কল্পলোকের চাবি

সেই কতকাল আগে থেকে মানুষ গল্প শুনতে চেয়েছে। গল্প শোনার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। গুহাচারী মানুষেরা জানতে চেয়েছে পশু শিকারের কাহিনি। আগুনের চারপাশে গোল হয়ে বসে শুনেছে শিকারের বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা। কথক নিপুণ কৌশলে গল্পকাহিনির কাঠামো তৈরি করেছে। রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির সৃষ্টি করে গল্পকাহিনিগুলো বুনেছে।
আদিকালের মানুষেরা সৃষ্টি রহস্য আর প্রাকৃতিক শক্তির কৌতুহল মেটাতে গিয়ে সৃষ্টি করেছে নানা ধরনের বিচিত্র উপখ্যান, কাহিনি, লোকগাথা, গল্প। এভাবেই, তৈরি হয়েছে লোককাহিনি। কোনো এক আদিবাসীদের পুরাকথায় শুধু পানি আর পানি। আর নিচে ছিল মাটি।’ লোককাহিনির বেশিরভাগ গল্পে রয়েছে আদিম সৃষ্টি রহস্যের কথা। প্রাচীনকালের মানুষ রাতের নক্ষত্রভরা আকাশের দিকে তাকিয়ে কল্পনাশক্থিকে বিস্তারিত করতে চেয়েছে। বিভিন্ন দেশের প্রচলিত লোককাহিনি আর উপকথার এক ভিন্ন জগত রয়েছে। সাধারণ মানুষের সৃ্টি এই কাহিনিগুলো আপামর মানুষের আশা-আকাঙ্কা, কামনা-বাসনা, স্বপ্ন, ইচ্ছে আর সুখ-দুঃখের অনুভূতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। সমাজের নিচুতলার অন্ধকারে ডুবে থাকা যে পিলসুজ মানুষদের শ্রমে তিল তিল করে সভ্যতার ভিত্তিভূমিটি গড়ে ওঠে সেই মানুষদের স্বপ্ন পূরণের ইচ্ছে মিশে থাকে লোককাহিনিগুলোতে তাদের বঞ্চিত জীবনের গভীরে অন্তলীন হয়ে থাকে ন্যায়বিচারের জন্য আকুতি। সেই আকুতি এসব কাহিনিতে ‍উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। এসব কাহিনির প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বিশ্বজনীনতা। অনেক লোককাহিনিতে মিথ মিশে আছে
েআদিমকালের মানুষ খাদ্য সংগ্রহের জন্য বনেজঙ্গলে গিয়ে পশু শিকার করতো। শিকার করে আনার পর আগুনের চারপাশে বসে শিকারকালীন সময়ের উত্তেজনাপূর্ণ, রোমাঞ্চকর ঘটনাগুলো নিয়ে গল্প করতো। তারা তখন সেই রহস্যময় অর্দশ্যলোকের উল্লেখ করতো যেখানে চলে গেছে গেছে মৃত শিকারগুলো । তারা এ কথা গভীরভাবে বিশ্বাস করতো যে সেই শিকারগুলো আবার ফিরে আসবে। সেই অদৃশ্যলোকের কোথাও বাস করেন পশুপতি । যিনি মানুষের জন্ম-মৃত্যুর ধারাকে নিয়ম্ত্রণ করে থাকেন। তাদের জীবনধারণের জন্য পশুর দলকে পাঠিয়ে থাকেন। তিনি যদি পশু পাঠাতে কখনো বিফল হন তাহলে মানুষকে অভুক্ত থাকতে হয়। আদিম সমাজ ভালোভাবেই বুঝতে পারে যে শিকারের মাঝেই তাদের জীবনের তাৎপর্য রয়েছে।


পঙ্খিরাজের ডানা

আলী ইমাম এবং শিশুসাহিত্য-দুটোই সমার্থক। প্রায় ৪৫ বছর ধরে নিরন্তর স্বপ্নবিলাসী শিশুসাহিত্য রচনার এক দক্ষ রাজকুমার তিনি। শিশুমানস, শিশুজগত, শিশুকল্পনাকে ধারণ করে বহু বিচিত্র রচনা সম্ভারে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি বাংলা শিশুসাহিত্য। চিরায়ত রচনাভঙ্গি, ধ্রুপদ কাহিনী নির্মাণ এবং ক্লাসিক্যাল শিশুসাহিত্যের মর্মকে তিনি কর্মে রূপান্তর করেছেন। তিন শতাধিক গ্রন্থের আয়নায় আলী ইমামকে প্রতিবিম্বিত করলে বিস্মিত হতে হয়। শিশুসাহিত্য জগতের যাবতীয় অনুষঙ্গ ও কলকজাকে সযত্নে তিনি আত্মস্থ করেছেন। শব্দজালে বন্দি করেছেন মধুর রূপকল্পনাকে। আলী ইমাম সেই বিরল বাক্য শ্রমিকদের একজন-ত্যাগ ও মোহের ছলনে যিনি শিশুসাহিত্যের স্বপ্নময় পথ থেকে কখনই সরে দাঁড়াননি। কমল্পিট শিশুসাহিত্যিক বলতে যা বোঝায় আলী ইমাম তারই স্বয়ম্ভু প্রতীক। শুধুই অর্থহীন কল্পনার উড্ডীন ফানুস নয়, আলী ইমামের রচনা বাস্তব পৃথিবীর ধুলিকণাকেও স্পর্শ করেছে। আলী ইমামের মূল ক্ষেত্র গদ্য রচনা। গল্প, উপন্যাস, ফিচার, ভ্রমণকাহিনি, বিজ্ঞান বিষংক রচনা, প্রবন্ধ-বিন্দু ‍বিন্দু বহু রত্নকণায় তিনি আমাদের শিশুসাহিত্যকে বিন্দু বহু রত্নকণায় তিনি আমাদের শিশুসাহিত্যকে পত্র-পুষ্প-পল্লবে সজ্জিত করেছেন। আলী ইমাম নিজস্ব অবস্থান তৈরি করেছেন স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকে । নিষ্ফলা, অনুর্বর, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিবাবকহীন, আমাদের শিশুসাহিত্যকে তিনি সাবালক করেছেন। অজস্র, অবিরাম, ক্লান্তিহীন রচনা তার। দূর লক্ষ্যপনে একাকী অভিলাষী যাত্রা তার। আলোর মশাল হাতে, গভীর ও সুপ্তি-ভাঙানিয়া, তিমিরবিদারী অভ্যুদয়ের সৈনিক তিনি। এক সামগ্রিক জীবন-মগ্নতায় শিশুচৈতন্যকে যিনি লালন করেন, তার মতো সার্থকনামা শিশুসাহিত্যিক সমগ্র বাংলাসাহিত্যের প্রেক্ষাপটেই খুঁজে পাওয়া ভার। দ্বিধাহীন বাক্যে লেখা যায়, আলী ইমাম একমেবাদ্বিতীয়ম।