Categories


তুরস্কের রূপকথা

কেন আমরা আজও রূপকথার গল্প ভালােবাসি? নিশ্চয়ই এর কারণ আছে। রূপকথা হচ্ছে মাটি ও মানুষের গল্প। এর নির্দিষ্ট করে কোনাে লেখক নেই। কে বা কারা পুরনাে দিনের রূপকথা তৈরি করেছেন তা জানারও কোনাে উপায় আজ নেই। তবে রূপকথা ব্যাপক অর্থে লােকসাহিত্যের অন্তর্গত। তাই রূপকথার মধ্যে পাওয়া যায় জনজীবনের গন্ধ, ভৌগােলিক পরিবেশের স্পর্শ এবং ইতিহাসের বর্ণ।

 


আফ্রিকার রূপকথা

আফ্রিকা আজ জেগে উঠেছে। শােনা যাচ্ছে কালাে মানুষের গান। আমরাও অনুভব করতে পারি কালাে মানুষদের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা, আবেগ, রসবােধ, জীবনবােধ সম্পর্কে। যেখানে মানুষ আছে সেখানেই জীবন আছে। আর যেখানেই শােনা যাবে জীবনের স্পন্দন সেখানেই তৈরি হবে গল্প। হাজার হাজার বছর ধরে প্রবাহিত এইসব গল্প আফ্রিকার লােকসাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। লােকসাহিত্যেই পাওয়া যায় মানুষ, জীবন ও জনপদকে। কিংবদন্তি কিংবা উপাখ্যান, রূপক গল্প কিংবা প্রবচন, ধাধা কিংবা প্রবাদ—এসবই লােকসাহিত্যের অঙ্গীভূত বিষয়। লােকসাহিত্যেই ধারণ করা হয় রূপকথা, উপকথা কিংবা কিংবদন্তি। আফ্রিকার বিস্তৃত লােকজীবনের লােকগাথা থেকে নির্বাচন করা হয়েছে কিছু রূপকথা ও উপকথা। বিশেষ করে পশ্চিম ও পূর্ব আফ্রিকার দেশসমূহে বিপুল পরিমাণ লােকগল্পের সন্ধান পাওয়া যায়। নাইজেরিয়া, কগাে, ঘানা, মাসাইল্যান্ড, সহেল এলাকা, জুলুল্যান্ড, ইত্যাদি নানাদেশের নানা জাতির গল্পই আফ্রিকার লােকগাথা হিসেবে স্বীকৃত।

 


ফ্রান্সের রূপকথা

সারাদিনের হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে কাঠুরে রাতের বেলা বাড়ি ফিরেছে। পেটে তার দারুণ খিদে। কাঠুরে-বউ কী আর করে? ঘরে তেমন কিছু নেই, কয়েকটা পােড়া রুটি আর আলুসেদ্ধ মেলে ধরল কাঠুরের সামনে। ভীষণ গরিব তারা। মাছ মাংস মাখন পনির খাবার মতাে পয়সা কোথায় তাদের? । গভীর হতাশায় নিশ্বাস ফেলে কাঠুরে-বউ বলল

– কী মন্দ কপাল নিয়েই না আমরা জন্মগ্রহণ করেছিলাম। তুমি এত পরিশ্রম করে বাড়ি ফিরে এলে

— তােমাকে আমি ভালােমন্দ কিছুই খেতে দিতে পারলাম না।


ইউরোপের রূপকথা

*মিথ্যাবাদী ছাগল ও দরজির তিন ছেলে
*পৃথিবীর শেষ ঝরনার খোঁজে
*ঘমন্ত রাজকন্যা
*বয় ও’ডোনাগের ঝকমারি
*সিনডারেলা


গ্রীম ভাইদের সেরা রূপকথা

এই নতুন বউয়ের ছিল দুই মেয়ে। তারাও এল তাদের মায়ের সঙ্গে থাকতে। চেহারা তাদের সুন্দর কিন্তু হৃদয় জঘন্য শয়তানিতে ভরা। বেচারা সৎমেয়েটির সময় খুব খারাপ কাটতে লাগল! তারা বলল, এই বােকাটা আমাদের সঙ্গে বৈঠকখানায় বসতে পারে না। রুটি যে খাবে তাকে সেটা রােজগার করতে হবে। মেয়েটা রান্নাঘরের দাসির কাজ করুক।' তার ভালাে ভালাে পােশাক কেড়ে নিয়ে তাকে দিল একটা পুরনাে ছাই-রঙা সায়া আর কাঠের জুতাে। তারা বলল, ‘দেমাকি রাজকন্যেকে একবার দেখ— কী সুন্দর তাকে দেখাচ্ছে!’ মুখ ভেংচে নানারকম ঠাট্টা-তামাশা করে তারা তাকে পাঠিয়ে দিল রান্নাঘরের কাজে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেখানে তাকে খাটতে হয় হাড়ভাঙা খাটুনি। কুয়াে থেকে জল সে তােলে, উনুন ধরায়, রাধে আর বাসন মাজে। তা ছাড়া সেই দুই বােনের অকথ্য আরাে নানা অপমান তাে আছেই। মটর-মসুরদানা ছাইগাদায় তারা ছড়ায় যাতে সেগুলাে বেছে বেছে তাকে তুলতে হয় আর রাতে যখন সে বেজায় ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তাকে তারা শশাবার কোনাে বিছানা দেয় না। তাকে শুতে হয় উনুনের পাশের ছাইগাদায়। সবসময় তার গায়ে ছাই লেগে থাকে। সবসময় তাকে দেখায় খুব নােংরা । তাই তাকে তারা ডাকে সিনডারেলা বলে।


কোরিয়ার রূপকথা

কোরিয়ায় অনেক ছােট-বড় পাহাড় আছে। পাহাড়ের কোল বেয়ে বয়ে চলেছে ঝরনাধারা। বড় বড় আকাশছোঁয়া গাছপালা চারপাশে। দূরে সরু রেখার মতাে পাহাড়ি নদী। এরকমই এক ক্ষীণস্রোতা পাহাড়ি নদীর পাশে ছােট্ট এক কুঁড়েঘর । সেই ঘরে বাস করে তিনটি সুন্দরী ছােট মেয়ে আর তাদের মা। পাহাড়ের কোলে কোলে তারা খেলে বেড়ায়। গাছের ফলমূল পেড়ে খায়। ঝরনার জলে স্নান করে।

বড় মেয়েটার নাম ছিল হায়সুনি। অর্থ হচ্ছে সূর্য। মেজো মেয়েটার নাম টায়সুনি।

 


Snowflakes and Sparkledust

When Felicity finds out that Floella, the Frost Fairy, has gotten a cold and may not be able to get out of bed to inspire her springtime magic, Felicity fears that spring may never come again and so much do her best to get Floella well and back on her fairy feet!


Good Night Fairy Stories

Book Summary of Good Night Fairy Stories Good night stories is a collection of fairy stories including thief of Bagdad, Rapunzel, Thr frog Prince, Prince Zeyn, The wolf and the seven kids etc. all the stories are fully illustrated in four colour.


বিজ্ঞান কি ও কেন

ভূমিকা
আজকের ছেলেমেয়েদের বিজ্ঞানের প্রতি আকর্ষণ অপরিসীম। অজানাকে জানতে আর বিশ্বের সমস্ত রহস্যের মূলকথা আয়ত্ত করতে হলে বিজ্ঞান শিক্ষা এ যুগের একান্ত জরুরী। স্কুল, কলেজ আজকের দিনে তাই বিজ্ঞান শির্ক্ষাথীর সংখ্যা ক্রমশই বাড়তির পথে। শুধু পড়ার বই কখনোই ছেলেমেয়েদের এই জ্ঞানার্জন স্পৃহা তৃপত্ করতে পারে না। 
একটি কথা একই সংগে মনে রাখার ভাল, বিজ্ঞানের ব্যাপ্তি বিশাল। তাই এই গল্প পরিসরে সব কথা বলা সম্ভব নয়। যাদের জন্য এই পরিশ্রম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাঠরত সেই ছেলেমেয়েদের বইটি ভাল লাগলে তবেই বর্ধিত কলবরের কথা ভাবা যাবে। 

সূচিপত্র
* পদার্থ বিদ্যা
* আলো
* চৌম্ব
*ক তড়িৎ
* রসায়ন 
* জীবন বিজ্ঞান
* নৃবিজ্ঞান
* মহাকাশ গবেষণা
* মহাকাশ ও জ্যোর্তিবিজ্ঞান
* কম্পিউটার 
* বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার
* বিবিধ


মহাকাশের কথা

সৌরজগতের উৎপত্তি কী করে হলো? ব্ল্যাক-হোল কী? ব্ল্যাক-হোল কখন, কীভাবে তৈরি হয়? পালসার ও নিউট্রন তারার পার্থক্য কী? আমাদের গ্যালাক্সির বৈশিষ্ট্য কী> গ্যালাক্সি কী করে তৈরি হয়? এই অষংখ্য গ্যালাক্সি মহাবিশ্বে কিভঅবে সজ্জিত আছে? সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, আমাদের বিশ্বের সৃষ্টি হয়েছে কী করে? বস্তুর মৌলিকতম উপাদান কী? কেমন তার আচরণ? সৃষ্টির মাহেন্দ্র ক্ষণটিতে কি তার কোনো ভূমিকা ছিল? নাকি সে নির্গুণ অকর্মণ্য, কেবলই এক নীরব দর্শক? বিশ্বের প্রসারণ কি চলতেই থাকবে নাকি এর কোনো শেষ আছে? সর্বোপরি মহাবিশ্বের নিয়তি কী? বহির্বিশ্বে কি প্রাণ সম্ভব? এইসব মিলিয়ন ডলার প্রশ্নের উত্তর এবং আরো অনেক নতুন প্রশ্নের ঝাঁপি নিয়ে মহাকাশের কথা। আজকের মানুষ মহাশূন্যে স্পেস-স্টেশন স্থাপন করেছে, অন্য গ্রহে বসতি স্থাপনের চিন্তা করছে। এমনকি এই দেশেই আছে নভোথিয়েটার। এই যখ পরিপ্রেক্ষিত, তখন কি স্পেস/ অ্যাস্ট্রনমি/ কসমোলজি এখনো উদাসীন বিজ্ঞানীর চিন্তার বিষয় হয়েই থাকবে? যারা আজকের এবং আগামী দিনের আধুনিক বিশ্বের নাগরিক হবেন তারা কি ‘অদ্ভুত উঠের পিঠে’ই চলতে থাকবেন?

পাখ, আপনার কী অভিমত?


জানা গণিত অজানা তথ্য

সূচিপত্র
* সেট তত্ত্বে জীবন
* গানিতিক জীবন
* শূন্য আবিষ্কার 
* সংখ্যা 
* সমীকরণ ও অভেদ
* পরিমাপ ও একক
* মজার বর্ষ : অধিবর্ষ
* জ্যামিতির ধারনা
* জ্যামিতির শ্রেণি বিভাগ
* বিন্দু, রেখা, তল
* জ্যামিতির কিছু প্রতীক
* কোণ পরিচিতি
* ক্ষেত্র পরিচিতি
* ক্ষেত্র সম্পর্কিত সূত্রবলী
* বৃত্ত্ পরিচয়
* ঘন বস্তুর পরিচয়
* আশ্চর্য মজার ধ্রুবক π (পাই) কাহিনি
* গ্রীক বর্ণমালার পরিচয়
* প্রয়োজনীয় গানিতিক সূত্রবলী
* সংখ্যার খেলায় মজা
* সরল অংকের নিয়ম
* গনিত ম্যাজিক : বার নির্ণয়
* আরো একটি মজার গল্প
* বড় সংখ্যার কেমন নাম
* উপপাদ্য জগত
* গানিতিক প্রশ্নোত্তর


বিজ্ঞানের রাজ্যে : যত প্রশ্ন

আমরা ফুসফুসের ক্যানসার, লিভার ক্যানসার, গলায় ক্যানসার, কোলন বা অন্ত্রের ক্যানসার, এমনকি মস্তিষ্কের ক্যানসারের কথা জানি। মেয়েদের স্তন ক্যানসার, ছেলেদের। প্রস্ট্রেট ক্যানসার বাড়ছে। চামড়ার ক্যানসারও হয় । কিন্তু কখনাে হার্ট বা হৃৎপিণ্ডের ক্যানসারের কথা শুনি না । হার্ট অ্যাটাক তাে অনেকেরই হচ্ছে। অথচ হার্টের ক্যানসার যে হয় না এবং কেন হয় না, সে বিষয়ে মনে প্রশ্নও জাগে না। এর কারণ হলাে, শরীরের প্রায় সব অঙ্গে ক্যানসারের প্রকোপ এত বেশি যে এর মধ্যে হার্টের বাদ পড়ে যাওয়ার কথাটা আমরা প্রায় ভুলেই যাই । মনে হয়, ওটাও আছে। আসলে নেই। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান হাসপাতালগুলাের হিসাবে দেখা গেছে, সারা বছরে হার্টের ক্যানসারের রােগী হয়তাে একটাও নেই। হার্টের ক্যানসার কেন হয় না, তা বােঝার জন্য প্রথমে আমরা দেখব দেহের অন্যান্য অঙ্গে কেন ক্যানসার হয়। আমাদের শরীরের বিভিন্ন।

 


অপূর্ব এই মহাবিশ্ব

টিকটিকি আমরা হরহামেশাই দেখি। লম্বায় এগুলো এক থেকে দুই ইঞ্চি। অন্যদিকে ডাইনোসর দৈর্ঘ্যে ৮০ থেকে ৯০ ফুট। এদের ঘিরে পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে নানা কুসংস্কার। অলীক সব উপাখ্যান। এমনিতেই সরীসৃপ সম্পর্কে আমরা যতটুকু জানি, অজানা তার চেয়ে অনেক বেশি। আর ডাইনোসর সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান একেবারেই সীমিত। এই প্রাচীন প্রাণীগুলো পৃথিবী থেকে সদলবলে বিলুপ্ত হয়ে গেছে সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে। কিন্তু কেন? এসব নানা কৌতূহল ও প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে এই গ্রন্থে।


অর্ধ-পরিবাহীর জগৎ

ফ্যারাডের পথিকৃৎ আবিষ্কারের পর থেকে আজ পর্যন্ত সেমিকন্ডাকটর ইন্ডাস্ট্রির যে রমরমা সেটা সংক্ষেপে প্রযুক্তির ইতিহাসও বটে। পদার্থের | রােধত্বের ঋণাত্মক তাপীয় সহগ আবিষ্কারের পর প্রায় একশ বছর এ সংক্রান্ত

রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অত্যন্ত ধীরগতিতে এগিয়েছে। এর কারণ হলাে ঐ সময়ে গবেষণা ও উন্নয়ন আজকের মতাে ইন্ডাস্ট্রি স্ট্যান্ডার্ডে এগােয়নি, জাতীয় বা কর্পোরেট কোনাে ফান্ডও ছিল না। বিজ্ঞানীরা নিজের তাগীদে, প্রকৃতিকে উন্মােচনের তাগীদে, প্রায়শই পকেটের পয়সা খরচ করে গবেষণা করতেন। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে রেডিও আবিষ্কৃত হলে এই ধরনের সেমিকন্ডাকটিং ডিভাইস, যারা রেকটিফায়ার হিসেবে কাজ করতে সক্ষম,

 


মহাবিশ্বের স্থান ও কালের ধারণা

মহাবিশ্বের উৎপত্তি, বিকাশ ও বিবর্তনের সাথে স্থান ও কালের সম্পর্ক কেমন? জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা হাজার হাজার বছর ধরে এর সমাধান খুঁজে বেড়াচ্ছেন। আজো চলছে এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা। স্থিতিকালের পরম মান, গতি ,বল, বস্তুপিণ্ডের ত্বরণ, মহাকর্ষীয় শক্তি ও বিধি, মহাকর্ষণ নীতি, আলোকের গতিশক্তি, আলোকের দ্রুতি, বেতার তরঙ্গ, সময়ের মাপ, সময়ের দুরত্ব, আলোকের রশ্মি, আলোক যাতায়াত, ঘটনা, অতীত আলোক শঙ্কু, ভবিষ্যৎ আলোক শঙ্কু,বৃহৎ বিস্ফোরণ, বৃহৎ সংকোচন, ব্যাপক অপেক্ষবাদ এবং মহাবিশ্বের প্রসারণ প্রভৃতি বিষয়ে বিজ্ঞানীরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করছেন। তারা মহাবিশ্বের অবস্থানগত দিক ও কালের ধারণা এঁকেছেন গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ দিয়ে। তবে অধিকাংশ বিজ্ঞানীরা আজ এক মত হয়েছেন যে, আমাদের এই মহাবিশ্ব সব সময়ই বর্তমান নয়। বরং একটি নিদির্ষ্ট সময়ে এর উৎপত্তি হয়েছে, আর তা ঘটেছে মাত্র কয়েক মিনিটে। যাকে তারা বলেছেন ‘বিগব্যাং’। এখানেই শেষ নয়, এই মহাবিশ্বের একদিন অবশ্যই সমাপ্তি ঘটবে। অর্থ্যাৎ ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। চলে যাবে ব্ল্যাকহোলে। আর এই মহাবিশ্বের পরিণতি আমাদের আনন্দের নয়, দুঃখের। বিজ্ঞানীরা এমনটিই ভাবছেন। তাছাড়া স্থানের ধারণায় আমরা জাহনতে পারছি যে, এই মহাবিশ্ব প্রতি মুহূর্ত কোটি কোটি মাইল প্রসারিত হচ্ছে। এ তথ্যের আবিষ্কার বিংশ শতাব্দীর বৌদ্ধিক বিপ্লবগুলোর মধ্যে অন্যতম । বিজ্ঞানীরা আরো বলছেন যে, এই প্রসারণ যদি যথেষ্ট শ্লথ গতিতে হয়ং তাহলে শেষ পর্যন্ত মহাকর্ষীয় বল প্রসারণ বন্ধ করবে এবং তারপর শুরু হবে সংকোচন। কিন্তু কএ প্রসারণ যদি একটি বিশেষ ক্রান্তিক হারের চেয়ে বেশি হয় তাহলে মাহকর্ষীয় বল এমন শক্তিশালী হবে না যে প্রসারণ বন্ধ করতে পারে এবং মহাবিশ্ব চিরকাল প্রসারণশীলই থাকবে। তবে বিজ্ঞানীদের নানান ভাবনা আর যুক্তি তর্কের শেষ নেই। সিদ্ধান্ত থেকে বার বার সরে আসাও তাই একটি স্বাভাবিক বিষয় এবং নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহাবিশ্বের স্থান ও কালের ধারণার বিভিন্ন দিকই এ বইয়ে সন্নিবেশ করা হয়েছে। এতে সময় ও স্থান বিষয়ে বিভিন্ন জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতামত ও তার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দেওয়া হয়েছে। 


সাপ

সাপের কামড়ে মানুষ মারা যায়। কিন্তু মৌমাছির কামড়ে যে এরচেয়ে তিনগুণ মানুষের মৃত্যু হয় তা আমাদের জানা নেই। সাপ হলেই যে বিষধর তা ঠিক নয়। পৃথিবীর সকল প্রজাতির সাপের মাত্র ১০ ভাগ বিষধর। সাপ আমাদের অনেক উপকারেও আসে। এদের ঘিরে রয়েছে নানামুখী গবেষণা ও ব্যবসা-বাণিজ্য। সাপ পরিবেশ-চক্রের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের প্রকৃতিকে জানতে হলে জানতে হবে সাপ-গোষ্ঠীকেও। জানতে হবে বিজ্ঞানের আলোকে, কুসংস্কার ও অপবিজ্ঞানের আঙ্গিকে নয়। সাপের আদ্যন্ত জানতে হলে এ বইয়ের জুড়ি নেই।


ভবিষ্যতে যাওয়া যাবে, যাবেনা পিছন ফেরা

ছয়জনকে সময় সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে বললে ছয়জনই অন্ধজনের হাতির আকার বর্ণনা করার মতােই ছ'রকম উত্তর দেবে। একজন পদার্থবিজ্ঞানী বলেন, সময় হলাে বিশ্বের মূল দুটি কাঠামাের একটি, অন্যটি হলাে স্থান। ঘড়ি মিস্ত্রির কাছে সময় হলাে তার হাতের কাজের টিক্ট। একজন সায়েন্স ফিকশনের আগ্রহী পাঠকের কাছে সময় হলাে ফোর্থ ডাইমেনশন। একজন জীববিজ্ঞানী সময়কে দেখে । চক্র হিসেবে, যা উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলকে প্রকৃতির পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তনের সাথে সমন্বয় রাখতে সাহায্য করে। একজন ব্যাংকারের কাছে সময় হলাে টাকা, যখন বৌদ্ধ ভিক্ষুরা সময়কে বিবেচনা করেন অনন্তকাল ধরে ফিরে আসা প্রকৃতির চক্র হিসেবে। মনােবিজ্ঞানীরা বলেন, দুই বছরের কমবয়সী শিশুদের সময়প্রবাহ সম্পর্কে খুব অল্পই বােধ আছে। এই ব্যাপারটা সম্ভবত আমাদের আদিম পূর্বপুরুষদের বেলায়ও প্রযােজ্য।

 


করেই দেখো বিজ্ঞান!

করেই দেখো বিজ্ঞানের ফ্লাপের লেখা:
বিজ্ঞান করার সাথে বিজ্ঞান বোঝার সর্ম্পক খুব গভীর। বিজ্ঞান করা হচ্ছে নিজের চোখের সামনে বিজ্ঞানকে ঘটতে দেখা। তাহলে বিজ্ঞান পড়ার সাথে সাথে বিজ্ঞান অনুশীলন করলে কি লাভ? তুমি জানতে পারবে যে বিজ্ঞান মজাদার। এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে হয়তো দেখবে প্রথমেই সফল হবে না, তবে ধৈর্য্য ধরে চেষ্টা চালিয়ে গেলে সফলতা আসবেই। বিজ্ঞানীরা তোমার থেকে আলাদা কেউ ছিলেন না। তাদের জীবনেও প্রচুর ব্যর্থতা এসেছে। তা সত্ত্বেও তারা রাতদিন বিজ্ঞান নিয়ে লেগে থাকতেন কেন? এই প্রশ্নের উত্তর তুমি পাবে বিজ্ঞান করতে করতে। বিজ্ঞান করে দেখলে সবথেবে বেশি যে লাভ হবে সেটা হচ্ছে যেকোন সাধারণ ঘটনাকে অসাধারণ মনে হবে তোমার কাছে। কারন তুমি যখন নিজের হাতে মোটর বানাতে শিখবে, ধোঁয়া ঢালাঢালির রহস্য বুঝবে অথবা টেসলা কয়েলের সৌর্ন্দয্য দেখবে তখন সব সারধারণ ঘটনারও পেছনের বিজ্ঞানকে খুজে দেখতে চাইবে তুমি। তাইতো সবাইকে বলছি, একবার করেই দেখো বিজ্ঞান।
সূচিপত্র
১) চাপের কারসাজি 
২) টেসলা কয়েল 
৩) নিজেই চাষ কর ব্যাকটেরিয়া
৪) চুম্বক ভাসানাে: লেট্রিন
৫) বায়ুর যাদুশক্তি 
৬) বােতলে বেলুন হয়ে উঠে জীবন্ত! 
৭) বেলুন ফাটবে না।
৮) লিকপ্রুফ ব্যাগ 
৯) ধোয়ার বােমা 
১০) ঘূর্ণন যন্ত্র
১১) বােতলের ভেঁকুর তােলা
১২) চুম্বকের অদৃশ্য প্যারাসুট
১৩) ম্যাগ্নেটিক ট্রেন
১৪) বােতলের ভেতরে মেঘ! 
১৫) রঙ উঠে যায় বেয়ে
১৬) চা প্যাকেটের রকেট
১৭) সুঁই পানিতে ভাসাও।
১৮) লাঠি ব্যালেন্সিং ট্রিক 
১৯) ইনফ্রারেড দেখতে তােমায় পাই 
২০) ধোয়া করি ঢালাঢলি
২১) কোকের রঙ করে দেই ফ্যাকাশে 
২২) দ্রুত বরফ!
২৩) কলা দিয়ে বেলুন ফুলাও! 
২৪) নিজেই বানাও মোটর!
২৫) মধু আসল না নকল?
২৬) ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ
২৭) পার্টিক্যাল ডিটেক্টর 
২৮) সসের প্যাকেটের সাবমেরিন
২৯) বার্নলি বল 
৩০) টুথপিক যায় সরে! 
৩১) বেলুনের হােভারক্র্যাফট 
৩২) হিরাের স্টিম ইঞ্জিন 
৩৩) ধোয়ার কামান 
৩৪) দুধের মধ্যে রঙের বাহার 
৩৫) ফায়ারপ্রুফ বেলুন। 
৩৬) ভরটেক্স ব্রেকডাউন
৩৭) অদৃশ্য কালি! 
৩৮) চুম্বক টিভিতে 
৩৯) দ্রুত বােতল খালি করি
৪০) হট আইস 
৪১) কলাদাম বাতি
৪২) কার্বন ডাই-অক্সসাইডের রকেট